আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোনা এমন এক ধাতু যা বরাবর মানুষকে আকৃষ্ট করে। বিশ্ব অর্থনীতি টালামাটাল হলেই এই ধাতুর চাহিদা আরও বৃদ্ধি পায়। আধুনিক প্রযুক্তিতে সোনা অপরিহার্য। বৈদ্যুতিক গ্যাজেট তৈরিতে সোনা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ধাতু। পৃথিবী মূলত সোনার মজুদ যথেষ্ট থাকলেও সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই আপাতদৃষ্টিতে সীমাহীন সম্পদটিও দ্রুত হ্রাস পেতে পারে কারণ মানবজাতি এখনও পর্যন্ত ২৬ হাজার টনেরও বেশি সোনা খনন করে ফেলেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বা ইউএসজিএস (USGS)-এর রিপোর্ট বলা হয়েছে, লিপিবদ্ধ ইতিহাস অনুযায়ী, মানুষ এখনও পর্যন্ত ২৬ হাজার টন সোনা খনন করে ফেলেছে। এই পরিমাণ যে কোনও ছোট দেশের সোনার ভাণ্ডারের থেকে অনেক বেশি। ইউএসজিএস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশির ভাগ সোনাই ব্যবহৃত হয়ে গয়না এবং অন্যান্য সৌন্দর্য সামগ্রী তৈরিতে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল তার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, বিশ্বের প্রায় ৪৫% সোনা গয়না আকারে, ২২% বার এবং কয়েনের আকারে, এবং মাত্র ১৭% কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে।
ইউএসজিএস রিপোর্ট অনুসারে, শিল্পায়নের পর থেকে সোনার ভাণ্ডার দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে এখনও প্রায় ৭০,৫৫০ টন সোনা অবশিষ্ট রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অব্যবহৃত সোনার ভাণ্ডার রয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীন বিশ্বের বৃহত্তম সোনা উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু সে দেশে সোনার মজুদ অনেক দেশের চেয়েই কম। ২০২৪ সালে ৮,১৩৩.৪৬ টন সোনার মজুদ নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানির ৩,৩৫১.৫৩ টন। এরপর রয়েছে ইতালি (২৪৫১.৮৪ টন), ফ্রান্স (২৪৩৬.৯৭ টন), রাশিয়া (২৩৩৫.৮৫ টন)। এই তালিকায় চীন ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। শি জিনপিংয়ের দেশে ২২৬৪.৩২ টন সোনা মজুদ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা, চীন অদূর ভবিষ্যতে তার সোনার মজুদ বৃদ্ধি করে পাঁচ হাজার টন করার লক্ষ্য নিয়েছে।
