আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিবেশ বদলের সঙ্গে তাল রেখে পাল্টে যাচ্ছে অন্য আরও অনেক কিছুই। সেখানে এবার সবথেকে বেশি মারাত্বক বিষয়টি কাঁপিয়ে দিয়েছে গবেষকদের মন। দেখা গিয়েছে পরিবেশের বিরাট বদলের ফলে প্রতিটি খাবার থেকে কমছে পুষ্টিগুণ। ফলে এবার থেকে যে খাবারগুলি থেকে আপনি মনে করছেন রোজকার পুষ্টি পাচ্ছেন সেগুলি আর হবে না। খাবারের পুষ্টিগুন সরাসরি প্রভাব ফেলছে মানুষের দেহে।


লিভারপুল জন মোরেস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করছেন প্রতিটি খাবারে কার্বনের পরিমান বাড়ছে। ফলে সেখান থেকে তার পুষ্টিগুণ কমছে। বাতাসে যেহেতু কার্বনের পরিমান বাড়ছে ফলে সেখানে সেই কার্বন সরাসরি চলে যাচ্ছে মাঠের ফসলে। ফলে সেখান থেকে যে খাদ্য আপনি গ্রহণ করছেন তাতে প্রতিদিন কমছে পুষ্টিগুণ। কিন্তু আমরা সেটা বুঝতে পারছি না। আমরা দেদার সেই খাবার খেয়ে নিজেদের পুষ্টি নিয়ে গর্ব করছি।


মাটির গুণমান: মাটির গুণমান কমে গেলে ফসলের পুষ্টিগুণও কমে যায়।


চাষ পদ্ধতি: কিছু ক্ষেত্রে আধুনিক চাষ পদ্ধতি, যেমন - রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, মাটির স্বাস্থ্য এবং উদ্ভিদের পুষ্টিগুণকে প্রভাবিত করতে পারে।


প্রক্রিয়াজাতকরণ: প্রক্রিয়াজাতকরণ, যেমন - অতিরিক্ত তাপ, আলো বা অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসার ফলে খাবারে উপস্থিত কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 


রান্না পদ্ধতি: অতিরিক্ত তাপে বা বেশি সময় ধরে রান্না করলে কিছু ভিটামিন, বিশেষ করে ভিটামিন সি ও বি ভিটামিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, কারণ শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হতে পারে।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। 
শক্তি কমে যেতে পারে। 
কিছু ক্ষেত্রে, দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
সঠিকভাবে সংরক্ষণ: খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। যেমন - রেফ্রিজারেটরে রেখে এবং বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করলে অনেক ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অক্ষত থাকে। 


সঠিক রান্নার পদ্ধতি: অতিরিক্ত তাপে বা বেশি সময় ধরে রান্না না করে, অল্প তাপে বা ভাপিয়ে রান্না করলে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। 


সুষম খাদ্য গ্রহণ: বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যায়। 


মৌসুমি ফল ও সবজি: মৌসুমি ফল ও সবজি সাধারণত বেশি পুষ্টিকর হয়, তাই এগুলো গ্রহণ করা উচিত।  

 

আরও পড়ুন: কমে গেল দাম, ট্রেন-বাসে ধাক্কা খাওয়ার দিন শেষ, আজই ঘরে নিয়ে যান এই স্কুটার


প্রক্রিয়াজাত খাবারের বিকল্প: প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে, টাটকা খাবার গ্রহণ করা ভালো। তবে পরিবেশের এই বিরাট বদলের ফলে প্রতিটি সময় খাবারের গুন পরিবর্তন হয়েছে। যে খাবার আপনাকে এতদিন ধরে পুষ্টি দিয়েছে তারাই এখন আপনার দেহে ঢেলে দেবে কার্বনের বিষ। যে খাবার খেয়ে আপনি মনে করছেন দেহে পুষ্টি তৈরি হচ্ছে সেই খাবার থেকেই আপনার দেহে তৈরি হতে পারে নানা ধরণের রোগ।


পরিবেশে প্রতিদিন ধরেই কার্বনের পরিমান বাড়ছে। খাবারের সঙ্গে সেই কার্বন দেহে মিশছে। ফলে সেখান থেকে তৈরি হয়েছে নানা ধরণের রোগ। এমন কয়েকটি রোগ দেহে বাসা করছে যাকে সেখান থেকে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে যদি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চায় তাহলে পরিবেশকে বদলাতে হবে।