আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। সেকথা ঘটা করে জানিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের মতিগতি যে কখন কোন দিকে যাবে সেকথা বলতে পারেন একমাত্র তিনি নিজেই।
 
 যেখানে যুদ্ধবিরতির কথা ট্রাম্প নিজেই ঘোষণা করেছেন সেখানেই তার গলায় এবার অন্য সুর। ইরানকে তিনি সরাসরি হুমকির ভাষায় বলেন, যদি ইরান ফের নিজের পরমাণু কেন্দ্রগুলিকে তৈরি করার চেষ্টা করে তাহলে ফের তাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এরপরই তিনি বলেন, ইরানের বর্তমানে এমন পরিস্থিতি নেই যে তারা নতুন করে পরমাণু কেন্দ্রগুলিকে ফের তৈরি করতে পারবে। তাদের সেই পরিস্থিতি নেই। 
 
 মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যেভাবে আমেরিকা ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে হামলা করেছে তাতে সেখান থেকে তাদের ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল হবে। তারা এত তাড়াতাড়ি পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে না। তাদের সেই ক্ষমতা এখন নেই।
 
 এর আগে ট্রাম্প দাবি করেন, ৪০০ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম যে ইরান সরিয়ে ফেলেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। এই ধরণের সমস্ত খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 
 
 রিপোর্টারদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যুদ্ধ শেষ করার জন্যেই ইরানের ওপর হামলা করেছে। ইরানের পরমাণু পরিকল্পনাকে ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্পের সুরে কথা বলে মার্কিন মুখপাত্রও জানিয়েছেন আমেরিকার প্রধান কাজ ছিল ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিকে ধ্বংস করা। সেই কাজ অতি সহজেই শেষ করা হয়েছে।
 
 প্রসঙ্গত, কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে যে আঘাত হানে ইরান, তার পরই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলেও দাবি করে ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেল। বলা হয়, "কাতারে আমেরিকার আল উদেইদ ঘাঁটিতে ইরান আঘাত হানার পর, কার্যত ভিক্ষা চাওয়ার মতো করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানান।
আল উদেইদ ঘাঁটিতে ইরান হামলা চালানোর মাত্র এক ঘণ্টা পর ভিক্ষা চাওয়ার মতো করে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন।" সাম্রাজ্যবাদী ইহুদিরা ইরানের উপর যে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল, তাতে ইতি টানতে ট্রাম্পই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও ট্রাম্প সম্পূর্ণ উল্টো দাবি করছেন। তাঁর বক্তব্য, 'প্রায় একই সময়ে ইরান এবং ইজরায়েল আমার দ্বারস্থ হয়, শান্তির কথা বলে। আমিও জানতাম সময় হয়েছে। গোটা পৃথিবী, পশ্চিম এশিয়াই আসল বিজয়ী। ভবিষ্যতে ভালবাসা, শান্তি এবং সমৃদ্ধি অপেক্ষা করছে দুই দেশের জন্যই। অনেক কিছু পাওয়া বাকি ওঁদের। সত্য এবং ধর্ম থেকে বিচ্যুত হলে অনেক কিছু হারাতেও হতে পারে। ইজরায়েল এবং ইরানের সামনে অফুরান ভবিষ্যৎ'।
