আজকাল ওয়েবডেস্ক: গা ছমছমে পরিবেশ, অন্ধকার, নিঝুম চারপাশ। এইরকম অবস্থায় থাকলে পিছনে কেউ নেই তো? কেউ উঁকি মারছে না তো? ভয়ে বুক দুরুদুরু। এই কথা মনে হয়নি এমন মানুষ বিরল। ভয়টা কীসে? ভূতে। এর জন্য অনেকে রাতে ঘুমোতে পারেন না। অনেকে তো স্বচক্ষে দেখেছেন বলেও দাবি করে থাকেন। এই ভূত নিয়ে রয়েছে শত শত তত্ত্ব। কিন্তু ভূত কি সত্যি আছে? কী বলছে গবেষণা? এ নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ব্যারি মার্কোভস্কি এক নতুন কথা শোনালেন। 

 

 

তিনি জানালেন, অনেকেই জীবনে কিছু অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কারণে প্রায়ই ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। ভূতদের প্রায় সবসময়ই অস্পষ্ট পরিস্থিতিতে দেখা যায়, যেমন দুর্বল আলোতে বা যখন সবে ঘুম থেকে জেগে ওঠে মানুষ বা ঘুমের সময় যখন মানুষের ইন্দ্রিয়গুলি সঠিকভাবে কাজ করে না তখন।  

 

 

তাঁর আরও ব্যাখ্যা, লোকেরা যখন ভুতুড়ে বাড়িগুলিতে যায় তখন তারা সেখানে ভূত আছে বলে আশা করেই জায়গাটি পরিদর্শন করে, তাই তারা এমন জিনিসগুলি অনুভব করে যেগুলিকে প্রায়শই ভূতের কাজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। 

 

 

এর আগে ২০১৪ সালে, নেদারল্যান্ডসের গবেষকদের একটি দলও অলৌকিক কার্যকলাপের অস্তিত্ব আছে কি না তা নিয়ে গবেষণা করেছিল। তাতে উঠে আসে, যারা ভূতে বিশ্বাস করেন তারা অনেকেই ধর্মপ্রাণ ছিলেন আবার কেউ ধর্মবিশ্বাসী না হয়েও অতিপ্রাকৃত জিনিসে বিশ্বাসী ছিল। 

 

 

সেই গবেষণায় উঠে আসে, মানুষ প্রায়ই টিভি শো এবং চলচ্চিত্র দেখার পরে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে নিজের মনে ছবি আঁকেন। গবেষকরা আরও উল্লেখ করেছেন যে বেশিরভাগ মানুষ ভূত-সম্পর্কিত ঘটনার সম্মুখীন হয় ম্লান আলো, চিন্তাভাবনা, ভয় বা ঘুমের অভাবের কারণে। তাই বলা যায় বিজ্ঞান আরও একবার দাবি করল, ভূত বলে কিছু হয় না, সবটাই মনের ভুল বা দুর্বল মনের পরিচয়।