আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন আর দেখা হল না পদ্মাপারের। তার আগেই সমাপ্তি অধ্যায়ের। দীর্ঘ রোগভোগের পর, মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০। খবর অনুযায়ী, প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সমাধিস্থ করা হবে বিএনপি নেত্রীকে৷ খালেদার দলের তরফে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, বুধবার দুপুর ২ টোয় ( বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী) শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে৷ ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবন মাঠ ও মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জিয়া উদ্যানে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়াউরের পাশেই নেত্রী খালেদাকে সমাধিস্থ করা হবে৷
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপার্সন, তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশব্যাপী গভীর শোকের আবহ। তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় মহিলাদের জন্য পৃথকভাবে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহী সকলকে নিরাপত্তাজনিত কারণে কোনও প্রকার ব্যাগ বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ বিএনপি নেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সকলের সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুত মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। খবর অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
নেত্রীকে সর্বস্তরের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন ও তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারেন তার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানাজার পর বেলা সাড়ে তিনটের দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমহিত করা হবে। এসময় বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদগণ উপস্থিত থাকবেন। শেষকৃত্য নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। খবর অনুযায়ী, শেষকৃত্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।
