আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৫ মে, সোমবার সকালে ইজরায়েলি মন্ত্রিসভা গাজা উপত্যকার পুরো এলাকা দখলের ও সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। ইজরায়েলি সামরিক প্রধান হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা ডাকার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই এই সিদ্ধান্ত আসে।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, হামাসকে পরাজিত করা এবং গাজায় আটক ইজরায়েলি বন্দীদের মুক্ত করাই এই অভিযানের লক্ষ্য। তবে এই পদক্ষেপের ফলে দক্ষিণ গাজায় আরও হাজার হাজার প্যালেস্তিনীয় বাস্তুচ্যুত হবে এবং মানবিক সংকট আরও গভীরতর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইজরায়েল গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে, ফলে খাদ্য, জ্বালানি ও পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থাকে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ সংস্থা একটি বিপর্যয়কর মানবিক সংকট বলে বর্ণনা করেছে।

একই সঙ্গে, ইজরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণে হামাসের অংশগ্রহণ ঠেকাতে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে। তবে জাতিসংঘ এই পরিকল্পনায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং এটিকে মানবিক সহায়তার ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে দেখছে।

প্যালেস্তিনীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অনেকেই নারী ও শিশু। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এই নতুন পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক মহলে আরও উত্তেজনা ও সমালোচনার জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।