আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিন বছর আগে বিষধর সাপের কামড়ে এক যুবতীর মৃত্যু। অবশেষে ফাঁস হল স্বামীর কীর্তি। দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনামাফিক স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় স্বামী-সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। পুলিশ জানিয়েছে, তিন বছর তদন্তের পর এক যুবতীর রহস্যমৃত্যুর ধোঁয়াশা কাটল। তিন বছর আগে স্ত্রীকে খুন। অবশেষে গ্রেপ্তার স্বামী ও তাঁর তিন বন্ধু। বদলাপুর থানার পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিষধর সাপ দিয়ে স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা ছিল স্বামীর। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সেই।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ২০২২ সালে ১০ জুলাই বদলাপুর ইস্টে উজ্বালাদ্বীপ সোসাইটিতে নীর্জা রূপেশ আম্বেকর নামের এক যুবতীর রহস্যমৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যুর মামলা রুজু করলেও, ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের ক্রমেই সন্দেহ বাড়তে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানেই অসংগতি খুঁজে পায় পুলিশ।
দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, নিত্যদিন দাম্পত্য কলহের জেরে তিতিবিরক্ত ছিলেন ৪০ বছরের রূপেশ। স্ত্রীর সঙ্গে নিত্যদিন ঝামেলার বিষয়টি আরও দুই বন্ধুর সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন। সেই দলেই সাপ উদ্ধারকজে পারদর্শী এক যুবককে যুক্ত করেন তাঁরা। সেই যুবক একটি বিষধর সাপ দিয়েছিলেন তাঁদের। সেই বিষধর সাপের কামড়েই যুবতীর মৃত্যু হয়।
তিন বছর পর ফাঁস হয়েছে, পরিকল্পনামাফিক যুবতীকে খুন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এফআইআর রুজু করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত মাসের শেষেও এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। নিত্যদিন দাম্পত্য কলহ। অশান্তির জেরে জীবন জেরবার। কখনও আবদারের জন্য, কখনও বা সন্দেহের বশে। তিতিবিরক্ত হয়ে স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করেন স্বামী। ধামাচাপা দিয়েও শেষরক্ষা হয়নি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের রাজকোটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করেন তাঁর স্বামী। খুনের পর গল্প ফেঁদে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পুলিশকে আগে জানিয়েছিলেন, ফুচকা খেতে গিয়েই নিখোঁজ হয়ে যান স্ত্রী।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সেদিন এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করে তারা। নিথর দেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট। দেহটি শনাক্তকরণের পর জানা যায়, ৩৩ বছরের বধূ স্নেহাবেন আসোদিয়া তিনি। হিতেশ আসোদিয়ার স্ত্রী ছিলেন তিনি। দু'জনেই রাজকোটের বাসিন্দা ছিলেন। দেহ উদ্ধারের পরেই স্বামীকে সন্দেহ করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, স্নেহাবেনের সঙ্গে নিত্যদিন অশান্তি হত হিতেশের। সন্দেহের বশে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা করতেন স্নেহাবেন। যা থেকে কথা কাটাকাটি ও অশান্তি লেগেই থাকত। প্রথমে নিখোঁজের গল্প বললেও, পরে স্বীকার করে নেন, স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে খুন করেছেন তিনি।
তিন বছর আগে হিতেশ ও স্নেহাবেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তুমুল দাম্পত্য কলহ জীবন জেরবার করে তোলে। কাজে যখন হিতেশ ব্যস্ত থাকতেন, তখন সন্দেহের বশে বারবার ফোন করে বিরক্ত করতেন স্ত্রী। ফোন না ধরলেই অশান্তি শুরু হত। কারখানায় কাজ করতেন হিতেশ। কাজের চাপ, দাম্পত্য কলহের জেরে জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল তাঁর।
দম্পতির দুই বছরের এক ছেলেও আছে। শনিবার সন্ধ্যায় হিতেশকে ফোন করে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার আবদার করেছিলেন স্নেহাবেন। তখন আবারও ঝামেলা হয় তাঁদের। রাগের মাথায় কারখানা থেকে লোহার রড তুলেই বাড়ির দিকে রওনা দেন। এরপর স্নেহাবেনকে নিয়ে নির্জন এলাকায় চলে যান। সেখানেই স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে মেরে খুন করে পালিয়ে যান। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
