আজকাল ওয়েবডেস্ক: অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বৃহস্পতিবার বিহারের নালন্দা জেলায় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। দেখা গিয়েছে, দেহের একটি পায়ের নীচে পায়ে ১০টি পেরেক গাঁথা অবস্থায় রয়েছে! স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিহারে নারী সুরক্ষার অবনতির অভিযোগে বিধানসভায় হইহই শুরু করেন বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। পাল্টা আরজেডি সুপ্রিম লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর স্ত্রী রাবড়িদেবীর আমলে বিহারের আইন-শৃঙ্খলার কতা স্মরণ করিয়ে দেয় শাসক জেডিইউ বিধায়করা।
বুধবার সন্ধ্যায় জেলার চান্ডি থানার আওতাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে চান্ডি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিহারশরিফ সদর হাসপাতালে পাঠায়। চান্ডি থানার এসএইচও সুমন কুমার বলেন, "বাহাদুরপুর গ্রামের কাছে রাস্তার ধারে কীভাবে ওই মহিলা প্রায়াত হলেন তা তদন্ত করা হচ্ছে।"
পুলিশের সন্দেহ, খুনের আগে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হতে পারে।
ঘটনার পর, বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে নিশানা করেন এবং বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন। তাঁর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের নিজের জেলা নালন্দা। ঘরের ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনি নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ তা ফের প্রমাণিত। তেজস্বী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে লেকা রয়েছে, "নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে বিহার শীর্ষ রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জিত হওয়া উচিত। যদি কেউ এই হৃদয়বিদারক ভয়াবহ ঘটনায় প্রভাবিত না হন, তাও তার নিজ জেলায়, তাহলে তিনি মানুষ নন।"
महिला अत्याचार और उत्पीड़न में बिहार शीर्ष राज्यों में है। मुख्यमंत्री श्री नीतीश कुमार को शर्म है कि आती ही नहीं! उनके गृह जिला में घटित इस रूह कंपकंपाने वाले वीभत्स कांड और दरिंदगी से भी अगर किसी को कोई फर्क नहीं पड़ता तो वह इंसान है नहीं!
— Tejashwi Yadav (@yadavtejashwi)
वैसे इस घटना को भी बेशर्म भाजपाई और… pic.twitter.com/JebH6v3hnLTweet by @yadavtejashwi
তেজস্বী রাজ্যে "ক্রমবর্ধমান" অপরাধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির "অবনতি" নিয়ে নীতিশ সরকারের উপর ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। জবাবে, নীতীশ কুমারের দলের বিধায়করা প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে তাঁর বাবা-মা লালু প্রসাদ এবং রাবড়ি দেবীর আমলে "জঙ্গল রাজ" স্মরণ করিয়ে দেয়। এছাড়া, এটি ২০০৫ সালে নীতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে রাজ্যের অগ্রগতি এবং উন্নয়নের উপরও আলোকপাত করেন।
