আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামী রবিবার রামনবমীর দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন সদ্য নির্মিত পামবান রেল সেতুর। ভারতীয় ভূখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরাম বা পামবান দ্বীপকে জুড়তেই তৈরি হয়েছে ২.২ কিলোমিটার বিস্তৃত এই নতুন রেলসেতু। সমুদ্রের উপরেই তৈরি হয়েছে নতুন সেতু। যা নির্মাণে খরচ পড়েছে মোট ৫৩৫ কোটি টাকা। পামবান দ্বীপকে জুড়তে, কেন্দ্র এই প্রথম রেলসেতু নির্মাণ করছে এমনটা নয়। ভারতীয় ভূখণ্ড এবং ওই দ্বীপের মধ্যে রয়েছে একটি যানবাহন চলাচলের সেতু, যা ইন্দিরা পয়েন্ট নামে খ্য়াত। 

যান্ত্রিক সমস্যার কারণে ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর পুরনো পামবান সেতু বন্ধ হয়েছে। সেই পুরনো রেল সেতুটি অকেজো হতেই নয়া সেতু তৈরি করতে নেমে পড়ে কেন্দ্র। অত্য়াধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় খুব সহজেই প্রতি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে এই নতুন রেল সেতু হয়ে ছোটানো যাবে ট্রেনগুলি। পাশাপাশি, জাহাজ পারাপার করানোর জন্য মাঝখান থেকে ১৭ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠে যেতে পারে নয়া সেতুটি।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">April 3, 2025

নতুন সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কন্যাকুমারীতে স্থাপন করা হয়েছিল। যার নির্মাণ কাজ ওই বছর নভেম্বরে শুরু হয়েছিল। নতুন সেতুটি এখন ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

পুরনো পামবান সেতু ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস। ১৯৬৪ সালের ঘূর্ণিঝড় ধনুষ্কোডি মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে সেতুকে, একটি সম্পূর্ণ ট্রেন সমুদ্রে ডুবে যায়। সেতুটির সামান্য ক্ষতি হয় এবং ৪৬ দিনের মধ্যে এটি সংস্কার করে আবার চালু করা হয়। ২০০৯ সালে মাল পরিবহণের জন্য এটি আরও শক্তিশালী করা হয়। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এটি রামেশ্বরমের সঙ্গে একমাত্র সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল, এরপর একটি পৃথক সড়ক সেতু নির্মাণ করা হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয় পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এর রক্ষণাবেক্ষণ অযৌক্তিক বলে মনে করছে রেল। ভাঙার প্রক্রিয়া আসন্ন জুন মাসে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সমুদ্রে সেতুটির অবস্থান, জাহাজ চলাচলের বিষয়টি বিবেচনা করে, ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করা সময়সাপেক্ষ হবে।