আজকাল ওয়েবডেস্ক :  একবার লড়াই শুরু হলে যেকোনো একজনের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলতেই থাকে। সাপ-বেজির লড়াইয়ে বেশিরভাগ সময়ই জয়ী প্রাণীটার নাম বেজি। সাপও জেতে, তবে ক্বচিৎ। হাতি-বাঘ-সিংহের মতো প্রাণীরা সাপকে এড়িয়ে চলে।লড়াইয়ে বার বার কেন বেজিই জিতে যায়? সাপ কেন হারে?

 

একটা কথা প্রচলিত আছে, বেজির নাকি সাপের বিষে কিছু হয় না। কথাটা পুরোপুরি সত্য নয়। অল্প বিষে বেজির তেমন কিছু হয় না।

 

এদের শরীরে এক ধরণের গ্লাইকোপ্রোটিন থাকে, যা সামান্য পরিমাণ সাপের বিষকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে পারে। তবে যথেষ্ট পরিমাণ বিষ যদি সাপ বেজির শরীরে পুশ করে দিতে পারে, মৃত্যু অবধারিত। এই বিষই সাপের মূল শক্তির জায়গা। একবার ভালোমতো বিষ ঢেলে দিতে পারলেই লড়াই খতম। কিন্তু সেটা হয় না।

 

 সাপ বার বার ছোবল মারে বেজির শরীর লক্ষ্য করে। কিন্তু প্রতিবারই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কারণ, বেজির গতি। সাপ যখন ছোবল মারে। বেজি দ্রুত নিজের জায়গা থেকে সরে যায়। তারপর আবারে এগিয়ে আসে। সাপ আবার ছোবল মারে। বেজি আবার নিজেকে সরিয়ে নেয়। এর ফাঁকে বেজি চেষ্টা করে সাপের মাথা বাগে পাওয়ার। আর একবার সেটা ধরতে পারলেই হয়, দ্রুত চিঁবিয়ে ভর্তা করে দেয় সাপের মাথা।সাপের মাথা সময় মতো বাগে নাও পায়, তবু বেজির বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। সাপকে উত্যক্ত করে বেজি, যাতে সাপ বার বার আক্রমণ করে বেজিকে। বেজি প্রতিবার সরে গিয়ে নিজেকে বাঁচায়। এক সময় সাপ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন বেজি পাল্টা আক্রমণ করে। সাপের মাথা কামড়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলে। 

 

কখনো যদি সাপ বেজির গায়ে ছোবলও দিতে পারে, তবু বেজিকে মারার মতো যথেষ্ট বিষ ঢালতে পারে না। কারণ বেজির ঘন ও পিচ্ছিল লোমের কারণে সাপ ঠিকমতো দাঁত বসাতে পারে না বেজির গায়ে। তারপরও বেজি যে একেবারে মরে না, তা নয়, কখনো সাপ ভালোমতোই বিষদাঁত বসিয়ে দিতে পারে। তখনই কেবল বেজি মারা পড়ে।