আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজস্থানের রানথম্ভোর টাইগার রিজার্ভের লাগোয়া বজৌলি গ্রামে রাত হলেই হানা দিচ্ছে এক অপ্রত্যাশিত আতঙ্ক। গৃহস্থের ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে একটি ভাল্লুক। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ঘরের দরজা-জানলা ভেঙে ঢুকে পড়ছে ভাল্লুকটি। খাবারের সন্ধানে ঘরে ঢুকে নিমেষে শেষ করে দুধ, ঘি, দই। এমনকি অনেকের অভিযোগ, তাদের বাড়ির রান্নাঘর থেকে অন্যান্য খাবারও খেয়ে চলে যাচ্ছে প্রাণীটি। একজন স্থানীয় বাসিন্দা এক ভিডিওতে তুলে ধরেছেন ওই দৃশ্যটি।

যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক বাড়ি থেকে মুখে কিছু নিয়ে বেরিয়ে আসছে ভাল্লুকটি। অনুমান করা হচ্ছে, সম্ভবত একটি দুধের পাউচ বা দইয়ের বাক্স রয়েছে প্রাণীটির মুখে। একপাশে একটি কুকুর অনুসরণ করছে ভাল্লুকটিকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা বন দপ্তরকে জানালেও কেবল একটি খাঁচা বসানো হয়েছে। তাঁরা নিজেরাই ভাল্লুকটিকে সেই খাঁচার দিকে লোভ দেখিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়ে ভাল্লুকটিকে ধরার ব্যবস্থা করুক বনদপ্তর। অন্যদিকে, শনিবার সকালে রানথম্ভোর ন্যাশনাল পার্কের বাইরে একটি বাঘকে দেখা যায় শেরপুর হেলিপ্যাডের কাছের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে।

বন দপ্তরের একটি দল সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাঘটিকে অজ্ঞান করে পার্কে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, রানথম্ভোরে বর্তমানে ৭০টিরও বেশি বাঘ রয়েছে। পার্ক সংলগ্ন এলাকায় প্রায়ই বাঘের দেখা মেলে। কিছুদিন আগে এক হোটেলের ভিতরে পর্যটকদের কটেজের পেছনে লুকিয়ে থাকা একটি বাঘিনীকেও উদ্ধার করে বনকর্মীরা। গত এপ্রিল মাসে এক শিশুকে তার দিদিমার হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় একটি বাঘ। রানথম্ভোর পার্কের ভিতরে একটি মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন তাঁরা। ওই শিশুটির দিদিমা জানান, বাঘটি হঠাৎই জঙ্গলের আড়াল থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছেলেটির গলায় কামড় বসিয়ে টেনে নিয়ে গিয়েছিল।