আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ৬০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধা। সেই কারণে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার উত্তরপ্রদেশের হাতরাস জেলা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৪ নভেম্বর হাতরাসের চান্দপা এলাকার নাগলা ভূস ত্রিমোহনীর কাছে রাস্তার ধার থেকে এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি প্রথমে শনাক্ত করা যায়নি। জানা গিয়েছে, এরপর মহিলাকে চিহ্নিত করতে এবং খুনিকে খুঁজে বার করতে ১০টি আলাদা দল গঠন করা হয়।
তদন্তে পরে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম জোশিনা (৬০)। পাঁচ জেলার প্রায় ১০০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ অভিযুক্ত ইমরানকে (৪৫) খুঁজে বার করে। আগ্রার তাজগঞ্জের বাসিন্দা ইমরানকে রবিবার হাতরাসের হাটিসা সেতুর কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরার পর তার কাছ থেকে মৃতার মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সুপার চিরঞ্জীব নাথ সিনহা জানান, আগ্রার বাসিন্দা সত্তারের সঙ্গে জোশিনার মেয়ে মুমতাজের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল অভিযুক্ত ইমরান। ইমরানের শ্বশুরবাড়ি যেহেতু জোশিনার পশ্চিমবঙ্গের বাড়ির কাছেই ছিল, তাই দুজনের নিয়মিত দেখা হতো। এভাবে তাদের মধ্যে একটি সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল।
পুলিশকর্তা আরও বলেন, গত ১০ নভেম্বর নাতনির বিয়েতে যোগ দিতে কলকাতা থেকে এসেছিলেন জোশিনা। এরপর তিনি ইমরানের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। কিন্তু ইমরান বিবাহিত এবং তাঁর সন্তানও রয়েছে। তাই তিনি জোশিনার প্রস্তাবে রাজি হননি। পুলিশি জেরায় ইমরান স্বীকার করে যে, ১৩ নভেম্বর সে জোশিনাকে কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ার নাম করে সঙ্গে নিয়ে যায়। কিন্তু তারা আগ্রার দিকে বাসে উঠে হাতরাসের নাগলা ভূস ত্রিমোহনীতে নামে। সেখানেই সুযোগ বুঝে শ্বাসরোধ করে খুন করে৷
পুলিশকে ইমরান জানায়, জোশিনার থেকে ‘মুক্তি পেতে’ সে সেখানেই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর জোশিনার পোশাক এলোমেলো করে দিয়ে সে দেখানোর চেষ্টা করে যে অন্য কেউ এই কাজ করেছে। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
