সমীর ধর, আগরতলা: দশ রাজ্যের ৫৫ জায়গায় হানা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ)। অন্তর্দেশীয় মানবপাচারে যুক্ত সন্দেহে এনআইএ গ্রেপ্তার করেছে ৪৪ জনকে। তার মধ্যে ত্রিপুরা থেকেই গ্রেপ্তার ২১ জন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন জনকে। অভিযোগ, বাংলাদেশ হয়ে রোহিঙ্গারা দলে দলে ঢুকে ছড়িয়ে পড়ছেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। যা ঠেকাতে এই অভিযান। লক্ষণীয় বিষয় হল, বুধবারের এই অভিযানে অন্যত্র রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নেওয়া হলেও ত্রিপুরায় নেওয়া হয়নি। এদিকে, ত্রিপুরা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, রাজস্থান, পন্ডিচেরি, জম্মু–কাশ্মীরে একযোগে হানা দেয় এনআইএ। কর্ণাটক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ জনকে। অসম থেকে ৫ জনকে। তামিলনাড়ু থেকে ২ জন, বাকি ৩ জনকে হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা ও পন্ডিচেরি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে নগদ ২০ লক্ষ টাকা, বেশ কিছু ভুয়ো আধার কার্ড, প্যান কার্ড, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড ও পেন ড্রাইভ। অনুপ্রবেশকারীদের জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে দেওয়া সমেত সবরকম সহায়তার জন্য একটি বড়সড় চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ এনআইএ–র।
বুধবার সকালে অসম পুলিশ, বিএসএফ এবং এনআইএ–র একটি দল ভারতীয় বিমানবাহিনীর গজরাজ বিমানে আগরতলা এসেই দ্রুত বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। মোট ২৫ জনকে আটক করে ওই বিমানেই গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়। তার মধ্যে ৪ জনকে বাদ দিয়ে ২১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এনআইএ–র রিপোর্টে।
বুধবার সকালে অসম পুলিশ, বিএসএফ এবং এনআইএ–র একটি দল ভারতীয় বিমানবাহিনীর গজরাজ বিমানে আগরতলা এসেই দ্রুত বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। মোট ২৫ জনকে আটক করে ওই বিমানেই গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়। তার মধ্যে ৪ জনকে বাদ দিয়ে ২১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এনআইএ–র রিপোর্টে।
