আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিন কয়েক আগে থেকেই চর্চা শুরু হয়েছে। আর ঢাকা চোখে নয়। এবার খোলা চোখে বিচার। দাঁড়িপাল্লায় তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। সুবিচার স্পষ্ট চোখের তারায়, ওয়াকিবহাল মহলের মতে সেই বার্তা দিতেই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। দিনকয়েক আগেই প্রকাশ্যে আসে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত। কী ছিল সেই সিদ্ধান্ত? সর্বোচ্চ আদালতের 'লেডি অফ জাস্টিস' স্ট্যাচুর চোখের ওপরের দৃষ্টি বন্ধনী সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এক হাতের তরবারিরও ঠাঁই নেই আর, তার বদলে নারী মূর্তির হাতে সংযোজন দেশের সংবিধান। আইন অন্ধ নয় বার্তার সঙ্গেই সর্বোচ্চ আদালত বার্তা দিচ্ছে, আইন শাস্তির প্রতীকও নয়। 

কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই এবার সরব বার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের মত, সর্বোচ্চ আদালতে এমন অনেক কিছুই হচ্ছে, যা তারা জানেই না। অথচ জানার অধিকার রয়েছে একশ শতাংশ! কী বলছে বার অ্যাসোসিয়েশন?                           

বর্ষীয়ান আইনজীবী, রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল নেতৃত্বাধীন বার অ্যাসোসিয়েশন আচমকা শীর্ষ আদালতের আমূল পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সর্বসমক্ষে। বলছেন, লেডি অফ জাস্টিসের মূর্তিতে বড় পরিবর্তনেরাগে তাঁদের সঙ্গে কোনও প্রকার আলোচনাই করা হয়নি।

শুধু লেডি অফ জাস্টিসের মূর্তি নিয়েই নয়, অভিযোগ অন্যান্য বিষয়েও। অভিযোগ, যে জায়গায় আইনজীবীদের জন্য ক্যাফের তৈরির কথা বলা হয়েছিল, সেখানে আচমকা তৈরি হচ্ছে জাদুঘর। আইনজীবীদের আপত্তির কথা জানানোর পরেও সেই কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি লক্ষ্য করেছে যে, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একতরফাভাবে কিছু আমূল পরিবর্তন এনেছে। যেমন, বারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই তার প্রতীক পরিবর্তন,  লেডি জাস্টিসের মূর্তি পরিবর্তন। আমরা ন্যায়বিচারের প্রশাসনে সমান অংশীদার কিন্তু এই পরিবর্তনগুলি যখন প্রস্তাব করা হয়েছিল,  তখন আমাদের নজরে আনা হয়নি, আলোচনা করা হয়নি।‘ শুধু তাই নয়, স্পষ্ট জানানো হয়েছে, দেশের শীর্ষ আদালতের এই পরিবর্তনগুলির পিছনের যুক্তি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত বার অ্যাসোসিয়েশন।