আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহার ও বিহারের মানুষকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য, আর সেই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই কর্তৃপক্ষের বিষনজরে পড়লেন শিক্ষিকা। বিহারের জেহানাবাদে কর্মরত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রবেশনারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দীপালি শাহকে সাসপেন্ড করল কর্তৃপক্ষ। ন্যায্য কথা বলার জেরে কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না বলে পাল্টা জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। 

কী বলেছেন শিক্ষিকা দীপালি শাহ? ভাইরাল ভিডিও-তে হিন্দি ও ইংরেজিতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, প্রথম পোস্টিংয়ের জায়গা নিয়ে আমার সারা জীবন মনে থাকবে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের অনেকগুলি রিজিওন আছে। যার মধ্যে কলকাতা রিজিওনকে অনেকেই পছন্দ করে না। কিন্তু, আমি কলকাতা আঞ্চলিক কার্যালয়কেও মেনে নিতে রাজি। আমি কলকাতা, ওড়িশা, হিমাচল প্রদেশ এমনকি লাদাখেও যেতে রাজি আছি। যেখানে কেউ যেতে চায় না, সেখানে যেতে রাজি। কিন্তু বিহার নয়।

শিক্ষিকা দীপালির কেন এমন ভাবনা? তাঁর দাবি, বিহারের মানুষের কোনও নাগরিক বোধ নেই। ভারত এখনও উন্নয়নশীল দেশ রয়ে গিয়েছে, কেবলমাত্র বিহারের জন্য। আমরা যেদিন বিহারকে মানচিত্র থেকে বের করে দিতে পারব, সেদিনই ভারত উন্নত দেশের সারিতে চলে যাবে। তাঁর এই ভিডিও ভাইরাল হতেই অনেকেই শিক্ষিকা হিসেবে একথা মানায় না বলে শোরগোল ফেলে দেন।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">February 25, 2025

তবে ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় এই ভিডিওটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। বিহারের লোক জনশক্তি পার্টির সমস্তিপুরের এমপি শম্ভাবী চৌধুরি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনকে কমিশনারকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানান। চৌধুরি লিখেছেন, এ ধরনের বক্তব্য বলা অনুচিত, গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষত একজন শিক্ষিকা যিনি মূল্যবোধ ও জ্ঞান বিতরণ করেন তাঁর এই কাজ বিহারের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। সংস্থার প্রতি আস্থা ও ভরসার জায়গা রাখতে এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যেন পদক্ষেপ করা হয়।

কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করেছে। সাসপেনশন নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রবেশনারি শিক্ষিকাকে ছাপড়ার মাশরাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। সাসপেন্ড অবস্থায় তিনি মাশরাক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের আগাম অনুমতি ছাড়া ছুটিতে যেতে পারবেন না। পুলিশও স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি নোটিশ পাঠায় দীপালিকে। সাইবার থানায় তাঁকে দেখা করতে বলা হলেও এখনও কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। জেহানাবাদ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আমরা সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছি।