আজকাল ওয়েবডেস্ক:  আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে অবাক করা তথ্য উঠে এল সকলের সামনে। গ্রেট লেকস ইন্সটিটিট অফ ম্যানেজমেন্ট চেন্নাইয়ের পক্ষ থেকে একটি তথ্য সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। সেই তথ্য দেখে সকলেই এখন হতবাক হয়েছেন।


ভারতের কাজের বাজারে মহিলা কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ। এই খবরটি সকলের কাছে যথেষ্ট উৎসাহের। এরফলে এটা প্রমাণিত হয় যে কাজের বাজারে মহিলারা অনেক বেশি এগিয়ে থাকছেন। তবে চিন্তার বিষয়টি হল প্রায় ৮৯ মিলিয়ন মহিলা যারা বিভিন্ন অফিসে কাজ করেন তারা সরকারি প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্তি থাকছেন। যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তারা কাজ করেন সেই প্রতিষ্ঠানগুলি তাঁদেরকে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে দিয়েছেন।


ভারতের কাজের বাজারে পুরুষদের থেকে এখন অনেকটা এগিয়ে থাকছেন নারীরা। অনেক সময় দেখা গিয়েছে তারা কাজের নিরিখে পুরুষদের থেকে অনেক বেশি দক্ষ। তবে যেসব সুযোগ সুবিধা তাঁদের পাওয়া উচিত ছিল সেখান থেকে তারা কিছুই পাচ্ছে না। 

 


সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে কাজের বাজারে বিগত ১০ বছরে মহিলা কর্মীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃ্দ্ধি পেয়েছে। সেখানে পুরুষ কর্মীদের তাঁরা অনেক সময়তেই কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন। তবে এতসব করেও দেখা গিয়েছে মাসের শেষে শুধু মাইনে ছাড়া অন্য সমস্ত সরকারি সুযোগ থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। 

 


ভারতের কাজের বাজারে ২০ থেকে ২৪ বছরের মহিলার সংখ্যা বাড়ছে প্রতি বছরই। সেখানে ১০ শতাংশের মধ্যে ৭.৫ শতাংশ মহিলা অনেক বেশি দক্ষতা দেখাচ্ছেন। অনেক সময় দেখা গিয়েছে বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আয় করলেও স্ত্রী-য়ের আয় তাঁর স্বামীর তুলনায় অনেক বেশি। শুধু কাজের ক্ষেত্রে নয়, শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রেও স্ত্রী তাঁর স্বামীর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন।

 


এমনটাই দেখা গিয়েছে শুধু বাইরের কাজ বা অফিসের কাজ নয়, ঘরের কাজেও পুরুষদের একেবারে পিছিয়ে ফেলে দিয়েছে নারীরা। তারা অফিস থেকে ফেরার পর ঘরের কাজেও সমান দক্ষতা দেখাচ্ছেন। তবে এতসব করেও যে সরকারি সুযোগ সুবিধা তাঁদের পাওয়া উচিত সেখানে তাঁরা কিছুই পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি আগামীদিনে কতটা বদলাবে সেটাই আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে সবথেকে বড় প্রশ্ন।