আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহাকাশে টানা দু’সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১০০ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা ও তাঁর সহযাত্রী অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনের অন্যান্য সদস্যরা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকাকালীন তাঁরা প্রত্যক্ষ করেছেন মোট ২৩০টি সূর্যোদয়। এই অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে বিরল। শুভাংশু শুক্লা ছাড়াও এই বিশেষ মিশনের বাকি সদস্যরা হলেন প্রখ্যাত মহাকাশচারী পেগি হুইটসন, স্লাভোস উজনানস্কি-ভিসনিয়েভস্কি, এবং তিবোর কাপু। বর্তমানে তাঁরা মহাকাশে নিজেদের শেষ ‘অফ-ডিউটি’ দিনটি কাটাচ্ছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। তবে নাসা কবে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরাবে, সেই ঘোষণা এখনও বাকি।

অ্যাক্সিয়ম স্পেস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মিশনের সদস্যরা পৃথিবীর চারপাশে প্রায় ২৩০ বার পরিভ্রমণ করেছেন এবং মোট ৯৬.৫ লক্ষ কিলোমিটার (৬ মিলিয়ন মাইলেরও বেশি) পথ অতিক্রম করেছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রায় ২৫০ মাইল উচ্চতা থেকে, বিশ্রামের সময় তাঁরা পৃথিবীর দুর্দান্ত দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন, ভিডিও রেকর্ড করেছেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন’। মহাকাশের কঠোর কর্মসূচির মাঝখানে এই বিরল মুহূর্তগুলিতেই নতুন করে কাজের এনার্জি পেয়েছেন তাঁরা।

কোনও বেসরকারি মহাকাশ অভিযানে এই মিশনেই সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সর্বাধিক গবেষণা হয়েছে। ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বায়োমেডিক্যাল বিজ্ঞান, উন্নত সামগ্রী প্রযুক্তি, স্নায়ুবিজ্ঞান, কৃষি গবেষণা এবং মহাকাশ প্রযুক্তি সংক্রান্ত একাধিক পরীক্ষা। উল্লেখ্য, পিছিয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে শুভাংশু শুক্লাদের ঘরে ফেরা। ঠিক ছিল ১০ জুলাই মর্তে ফিরবেন তাঁরা।

 কিন্তু, পরিবর্তে ১২ জুলাই বিকেল শুভাংশুরা পৃথিবীর বুকে ফিরবে বলে জানিয়েছে স্পেস এক্স। সংস্থাটির দাবি, ১২ আগস্ট ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ ডি-ডকিং প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। ডি-কিংয়ের ১৭ ঘণ্টা পর ভারতীয় সময় দুপুর নাগাদ স্পেস এক্স ড্রাগন ৯ এর ক্যালিফোর্নিয়া সমুদ্র সৈকতের কাছে সমুদ্র পৃষ্ঠে স্প্ল্যাশ ডাউন হওয়ার কথা। কেন পিছিয়ে গিয়েছে মহাকাশ থেকে শুভাংশুদের ফেরার সময়? গবেষণার কিছু শেষ মুহূর্তের কাজ বাকি থেকে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে  প্রাথমিক কারণ হিসেবে।