আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকসভা ভোটের পর দিন যতই এগোচ্ছে ততই প্রশ্নের মুখে ইন্ডিয়া জোটের অস্বিত্ব! নেতৃত্বের বিষয়ে কংগ্রেসের দাদাগিরি নিয়ে আগেই সরব ছিল জোটের বাকি শরিকরা। এরপর মহারাষ্ট্র বাদে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোটেই ইন্ডিয়া জোটের শরিককা একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। ফলে এই বিরোধী জোটের প্রয়োজনিয়তা নিয়েই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। দিল্লি ভোটেও একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এই জোটের দুই শরিক আপ ও কংগ্রেস। যা নিয়েই ক্ষুব্ধ ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এই প্রসঙ্গেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে যাওয়া উচিত বলে জানান ওমর।
কী বলেছেন ওমর আবদুল্লা?
আপ এবং কংগ্রেস কয়েক মাস আগেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য জোট বেঁধেছিল। কিন্তু আসন্ন দিল্লি বিদানসভা ভোটে এই দুই দলই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এ নিয়েই প্রশ্ন করা হলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ওমর আবদুল্লা। বলেন, "আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না কারণ দিল্লি নির্বাচনের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। আপ, কংগ্রেস এবং লড়াইয়ে থাকা শরিকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কীভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। আমার যতদূর মনে হয় এই জোটের কোনও সময়সীমা দেওয়া ছিল না। দুর্ভাগ্যবশত, লোকসভা নির্বাচনের পর ইন্ডিয়া জোটের সেভাবে কোনও বৈঠক হয়নি। আমাদের এজেন্ডা ঠিক হয়নি। জোটের অস্বিস্তের কোনও স্পষ্টতা নেই। যদি এই জোট শুধু লোকসভা ভোটের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে আমার মনে হয় আমাদের একসঙ্গে বসে আলোচনা করে জোট ভেঙে দেওয়া উচিত।"
#WATCH | Jammu: J&K CM Omar Abdullah says, "... I cannot say anything about what's going on in Delhi because we have nothing to do with Delhi Elections... As far as I remember, there was no time limit to the INDIA alliance. Unfortunately, no INDIA alliance meeting is being… pic.twitter.com/u9w9FazeJG
— ANI (@ANI)Tweet by @ANI
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভোট।আপের বিরুদ্ধে জোর লড়াইয়ে কংগ্রেস। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে হতশ্রী ফলাফল করলেও এবার কংগ্রেস হাত শিবিরের বহু হেভিওয়েট নেতাকে দিল্লির নির্বাচনী লড়াইয়ে নামিয়েছে।উন্নয়নে কেজরিওয়াল নেতৃত্বাধীন দিল্লির সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব কংগ্রেস।পাল্টা কেজরিওয়ালও, কংগ্রেস দিল্লিতে বিজেপির দোসর বলে দেগে দিয়েছেন।
শরিকদের পারস্পরিক লড়াইতে ইন্ডিয়া জোট নিয়েই বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার প্রতিফলন এ দিন ঘটল ওমর আবদুল্লার কথাতেই।
