আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বইয়ের ফুটপাত ঘিরে শিণ্ডে শিবিরের শিবসেনা নেতার চরম দুর্নীতি প্রাকাশ্যে। অভিযোগ, এক পানিপুরি বিক্রেতাকে শিবসেনা নেতা তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফুটপাতের অংশ বিক্রি করেছেন। ঘটনাটি দু'বছর আগের মুম্বইয়ের মুলুন্ডে ঘটেছে। 

দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও প্রতারিত পানিপুরি বিক্রেতা সন্তোষ বাচ্চুলাল গুপ্ত ফুটপাতের অংশের দখল নিতে পারেননি। এরপরই তিনি একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন সেনা গোষ্ঠীর নেতা অবিনাশ বাগুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অবিনাশের বিরুদ্ধে তুলে ধনের ভুয়ো বিক্রয় চুক্তি সম্পাদনের অভিযোগ। প্রতারিত সন্তোষ বাচ্চুলালের অভিযোগ, ২০২৩ সালে, বাগুল তাঁকে সরকারি ফুটপাতের একটি অংশ 'বিক্রি' করেছিলেন। এ জন্য তিনি নগদ ৫০,০০০ টাকা এবং আরটিজিএসের মাধ্যমে আরও আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ওই শিবসেনা নেতাকে।

দু'বছর কেটে গেলেও, সন্তোষ বাচ্চুলাল গুপ্তকে ফুটপাতের জায়গাটি বা তিনি যে টাকা অবিনাশকে দিয়েছিলেন তা হস্তান্তর করা হয়নি। পরে তিনি জানতে পারেন যে, জায়গাটি বাগুলের বিক্রির ক্ষমতাই নেই। ওই জায়গা বৃহন্নুম্বাই পৌর কর্পোরেশনের (বিএমসি)। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে, গুপ্ত এই বছরের শুরুতে পুলিশের কাছে যান। গুপ্ত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, "তাঁকে (বাগুল) জানানোর পরও কাজ হয়নি। আমি অবশেষে পুলিশের কাছে যাই। তারপর তিনি আমাকে ছয়'মাস পরের একটি চেক দেন। তবে, সেই চেকটিও বাউন্স করে। এরপর, তিনি আর কোনও যোগাযোগ করেননি"

পানিপুরি বিক্রেতার দাবি তিনি ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে এবং তাঁর মায়ের সোনার গয়না বন্ধক রেখে তিন লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করেছিলেন।

পানিপুরি বিক্রেতা গুপ্ত আরও বলেন, "পুলিশের হস্তক্ষেপের পর, বাগুল আরও ১.৫ লক্ষ টাকার দু'টি চেক দেন, কিন্তু সে দু'টিও বাউন্স হয়ে যায়। পুলিশ এখন আমাকে বলেছে যে, তদন্ত শুরু করার আগে আমাকে আদালতের আদেশ নিতে হবে।"

প্রতারিত পানিপুরি বিক্রেতার আরও অভিযোগ যে, অভিযুক্ত একনাথ শিণ্ডে শিবিরের শিবনেতা নেতা তার আগে ফুটপাতের ওই জায়গাটি একজন দোসা বিক্রেতাকে জায়গাটি ভাড়া দিয়েছিলেন। ভাড়া হিসাবে নিতেন প্রতি মাসে ১৭,০০০ টাকা করে।

বিতর্কে শিবসেনা-র প্রতিক্রিয়া
শিবসেনা নেতা অবিনাশ বাগুল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তাঁর এবং পানিপুরি বিক্রেতা গুপ্তের মধ্যে কোনও বিক্রয় চুক্তি হয়নি। বাহুলের কথায়, "সন্তোষ আমাকে ব্যবসার জন্য ঋণ দিয়েছিলেন, যা আমি ইতিমধ্যে নগদে পরিশোধ করেছি।" তিনি বলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় শিবসেনা নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। শিবসেনা বিভাগ প্রধান জগদীশ শেঠি জানান, দল বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল। শেঠির কথায়, "দল আমাকে তদন্ত পরিচালনা করতে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছে। কারও প্রতি কোনও অবিচার করা উচিত নয়।"