আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি জোর চর্চা 'পেটিকোট ক্যান্সার' নিয়ে। তথ্য বলছে, মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে মূলত তাঁদের দৈনন্দিনের শাড়ি পড়ার পদ্ধতি। অথচ দেশের বহু মানুষ এখনও দৈনন্দিন জীবনে শাড়ি পরে থাকেন। অন্যদিকে সমীক্ষা বলছে শাড়ি পড়ার পদ্ধতি থেকেই মূলত বাড়ছে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি, দিনে দিনে বাড়ছে আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে কী বলছেন চিকিৎসকরা?

চিকিৎসকদের সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, দেশের মহিলাদের মধ্যে একটি বড় অংশের শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে কেবলমাত্র তাঁদের শাড়ি পড়ার ধরনের জন্য। কী বলছেন তাঁরা? বলছেন, সারাদিন শাড়ি বা ঘাঘরা পরে থাকেন যাঁরা, তাঁরা শক্ত করে কোমরে দড়ি বাঁধেন। সেই শক্ত দড়ি থেকেই হতে পারে এই মারণ রোগ। অনেকক্ষণ ধরে শক্ত পেটিকোট বাঁধা থাকলে এবং ক্রমাগত ঘষা লাগতে থাকলে প্রথমে কোমরের নানা জায়গার ত্বক পাতলা হয়ে যায়, তা থেকেই দিনে দিনে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। শাড়ির আঁচলের কারণেও অনেকসময় এই ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

কী করে বুঝবেন এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে আপনার মধ্যে? চিকিৎসকরা উপসর্গ হিসেবে বলছেন-


কোমরের চারপাশের ত্বক কালো হয়ে যাওয়া,  

ত্বক অনেক সময় রুক্ষ হয়ে যায়,

পুরু আঁশের মতো হয়ে যায় চামড়ার অনেক অংশ,

 কিছুক্ষেত্রে স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমাতে পরিণত হয়।

পরিত্রাণের উপায় কী? কীভাবে বাঁচবেন এই মারণ রোগের কবল থেকে? পরামর্শে চিকিৎসকরা বলছেন-

টাইট পেটিকোট এড়িয়ে চলতে হবে যথাসম্ভব।

গিঁটের জায়গার বদল করতে হবে।

নরম কাপড়ের পেটিকোট ব্যবহার করতে হবে। 

কোমরের অংশ নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।