আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না। রাষ্ট্রপতি ভবনে সোমবার শপথগ্রহণ হল ভারতের ৫১ তম প্রধান বিচারপতির। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ অনেকেই। এর আগে প্রধান বিচারপতি ছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে রবিবার ১০ নভেম্বর। তারপরের দিন সোমবার সপ্তাহের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব বুঝে নিলেন সঞ্জীব খান্না।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সকাল ১০ টায় বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন। নতুন বিচারপতি থাকবেন মাত্র ছয় মাস। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর ২০২৫ এর ১৩ মে। অক্টোবরের শেষেই শোনা যাচ্ছিল পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন খান্না। পরে তাতেই পরে শিলমোহর। নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অবসর নেওয়ার মাস খানেক আগে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক তাঁর কাছে পরবর্তী বিচারপতি কে হবেন জানতে চেয়ে চিঠি দেয়। তখনকার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর পরর্বতী প্রধান বিচারপতি হিসেবে সঞ্জীব খান্নার নাম সুপারিশ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর নিয়োগপত্রে সই করে জানিয়ে দেন সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব এবার নিতে চলেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
বছর ৬৪ এর বিচারপতি খান্না দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেব রাজ খান্নার ছেলে এবং বিশিষ্ট প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এইচআর খান্নার ভাইপো। পড়াশোনা শুরু বারখাম্বা রোডের মর্ডান স্কুল থেকে। পরবর্তী সময়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল পাশ করেন বিচারপতি। ১৯৮৩ সালে শুরু করেন কেরিয়ার। ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টে এরপর ২০১৯ সালে কাজ শুরু করেন সুপ্রিম কোর্টে। ছিলেন দিল্লি বার কাউন্সিলের মেম্বারও।
LIVE: Swearing-in-Ceremony of the Chief Justice of India Shri Justice Sanjiv Khanna at Rashtrapati Bhavan https://t.co/zC6Dj1gWS0
— President of India (@rashtrapatibhvn)Tweet by @rashtrapatibhvn
তিনি আয়কর বিভাগের স্থায়ী সিনিয়র পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করেছেন। জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ ধারা বাতিলের রায় দিয়েছিলেন তিনি। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের অপব্যবহার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে এক বেঞ্চ রাজনৈতিক তহবিলের স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে নির্বাচনী বন্ড স্কিমকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। এছাড়া লোকসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ।
