আজকাল ওয়েবডেস্ক : ইন্টারভিউ শুধুমাত্র নিজেকে প্রমাণ করার জন্য নয়। ইন্টারভিউ শিক্ষামূলক কাজও করে। এমনটাই দাবি এক ব্যক্তির। তিনি তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহরের একটি বেসরকারি সংস্থার সিএমও। জেনে নিন ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে কী হয়েছিল ওই ব্যক্তির সঙ্গে যে তিনি নেটমাধ্যমে পোস্ট করতে বাধ্য হয়েছেন।
কোম্পানিতে নিয়োগ চলছিল। সেই সময় ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে অবাক করা অভিজ্ঞতা ওই ব্যক্তির।সেই অভিজ্ঞতার ঘটনা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেছেন তিনি।
তাঁর পোস্টের শুরুতে লিখেছেন, সম্প্রতি আমি এক gen-z এর মন ভেঙেছি।
এরপরে তিনি গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেন। পোস্টের মাধ্যমে তিনি জানান, এককম বয়সী যুবককে তাঁর কোম্পানিতে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নিয়ে ছিলেন। যুবক যা পারিশ্রমিক বলেছিলেন তা শোনামাত্রই তিনি হতবাক হয়েছেন।
ইন্টারভিউ চলাকালীন যুবক তাঁকে জানান, আগের কোম্পানি তাঁকে বছরে ৫ লক্ষ টাকা বেতন দিত। স্বাভাবিকভাবেই এখন তিনি আরও বেতনবৃদ্ধির আশা রাখেন। এরপরে ওই যুবক তাঁর প্রত্যাশিত বেতন জানান। যদিও পোস্টে কোম্পানির সিএমও জানিয়েছেন, যে এইচআর রাউন্ডে তিনি আরও কম টাকা দাবি করেছিলেন। তবে ইন্টারভিউয়ের ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছতেই, যুবক তাঁর বেতনের টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে তোলেন।
এরপর কোম্পানির সিএমও তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি তাঁর বেতনের জন্য এত পরিমান টাকা ব্যয় করবেন? উত্তরে যুবক আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, ‘’কারণ আমি দক্ষ।‘’ যুবকের আত্মবিশ্বাস ওই ব্যক্তির বেশ পছন্দ হয়েছিল কিন্ত তিনি আরও কিছু বলতে চেয়েও বললেন না। যুবক তখন তাঁকে বলেন, কেন আপনি কাজ করিয়ে যথাযথ পারিশ্রমিক দেবেন না ? যুবকের এই কথা ভাল নজরে নেননি তিনি।
এরপরে যুবক তাঁর কাজ দেখালে তা ওই ব্যক্তির পছন্দ হয়নি। এরকম কাজের জন্য তাঁর আগের কোম্পানি যা তাঁকে দিত, তাও তিনি ওই যুবককে দিতেন না বলে পোস্টে জানিয়েছেন। সেদিন তিনি যুবকের কাজের ত্রুটিগুলি ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
পোস্টের শেষে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, তিনি কাউকে হতাশ করতে চাননি। তবে আগামীদিন যেন ওই যুবক আরও দক্ষ হয়ে ওঠেন। সেকারণেই এই কাজ করেছেন। তাঁর লেখা সমাজমাধ্যমে পোস্ট হওয়া মাত্রই তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এমনকি ওই ব্যাক্তি তাঁর পোস্টে তরুণ প্রজন্মকে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার পাশাপাশি কাজে দক্ষ হয়ে ওঠার পরামর্শ দিয়েছেন।
