আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে বিহারে শুরু হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় চলছে ভোট। এদিন মোট ১২২টি আসনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন।
এই পর্বে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য নির্বাচনী লড়াইয়ে ময়দানে নেমেছেন। উল্লেখ্য, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফার ভোটকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এই দফাতেই নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার ন’জন মন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব (সুপৌল), সুমিত কুমার সিং (চাকাই), মহম্মদ জামা খান (চেনপুর), লেশি সিং (ধামদাহা), কৃষ্ণ নন্দন পাসওয়ান (হরসিধি), রেণু দেবী (বেত্তিয়া), নীরজ কুমার বাবলু (ছাটাপুর), নীতীশ মিশ্র (ঝাঁঝরপুর), প্রেম কুমার (গয়া), শীলা মণ্ডল (ফুলপরাস), বিজয় মণ্ডল (সিকটি) ও জয়ন্ত রাজ কুশওয়াহা (আমরপুর)।
এদিন ভোটগ্রহণ হচ্ছে রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ, পূর্ব চম্পারণ, সীতামঢ়ি, মধুবনী, সুপৌল, আরারিয়া এবং কিষাণগঞ্জ জেলায়। উল্লেখ্য, সব ক’টি জেলাই নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় মুসলিম ভোটারদের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। ফলে এই পর্বটি শাসক দল এনডিএ এবং বিরোধী মহাজোট দুই পক্ষের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয় দফার ভোটের ক্ষেত্রে নজর কেড়েছে ভাগলপুর জেলার কাহালগাঁও বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে মহাজোটের দুই শরিক আরজেডি এবং কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে জনতা দল ইউনাইটেডও। অন্যদিকে, বিজেপির বিদ্রোহী প্রার্থী পবন কুমার যাদব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার যিনি কুটুম্ব আসনে টানা দ্বিতীয়বার জয় পেতে মরিয়া), আরজেডি-র প্রাক্তন স্পিকার উদয় নারায়ণ চৌধুরি, কংগ্রেসের বিধানসভা দলনেতা শাকিল আহমেদ খান, এবং সিপিআইয়ের(এমএল)বিধানসভা দলনেতা মাহবুব আলম।
অন্যদিকে, বিরোধী মহাজোটের অন্যতম নেতা ইন্সান পার্টির প্রধান মুকেশ সাহানি দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে জোটে ভাঙনের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার দিকেও এগিয়ে রয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ‘সব ঠিক আছে, কোনও বিভেদ নেই।’ দ্বিতীয় দফার ভোটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে চার লক্ষেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রয়েছে।
প্রথম দফার ভোটে রেকর্ড ৬৫ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল বিহারে। নির্বাচনের গণনা হবে ১৪ নভেম্বর। উল্লেখ্য, বিহারে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিন সকালে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী তরুণ প্রজন্ম অর্থাৎ নতুন ভোটারদের সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি লেখেন, ‘আমি প্রত্যেক ভোটারকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ভোটদানের নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যাঁরা প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যেন নিজেরা ভোট দেওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও ভোটদানে অনুপ্রাণিত করেন।’
