আজকাল ওয়েবডেস্ক: একই পরিবারের সাতজন। গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার তাদের দেহ। দেহ উদ্ধারের পর, প্রাথমিকাভবে প্রশ্ন ঘুরছিল, নিছক দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা? সকালে জানা গিয়েছিল, তদন্তে নেমে পুলিশ গাড়ির ভিতর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে।
বেলা গড়াতেই জানা গেল, কোনও দুর্ঘটনা নয়, পরিস্থিতির চাপে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন এক পরিবারের সাতজন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একেবারে শেষ মুহূর্তে পরিবারের একজন জানিয়েছেন, বড় অঙ্কের দেনায় ডুবেছিল গোটা পরিবার। অন্তত ২০ কোটি টাকার দেনা ছিল। আত্মীয়রা সব কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া সত্বেও কোনও রকম সাহায্য করেনি। তারপরেই গোটা পরিবার একসঙ্গে মৃত্যুর পথ বেছে নেয়।
বারওয়ালার ওই পরিবার, বর্তমানে দেরাদুনের বাসিন্দা ছিলেন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার রাতে পঞ্চকুলা থেকে একই পরিবারের সাতজন ফিরছিলেন গাড়িতে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই পরিবার পঞ্চকুলায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। আচমকা একটি বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়।
গাড়ির ভিতরে একাধিক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলে, এক যুবক জিজ্ঞাসা করেন। পুনীত নামের এক যুবক জানিয়েছেন, প্রবীণ মিত্তর বলে ব্যক্তি প্রথমে জানান, বাকিরা ঘুমোচ্ছেন। তবে কিছুক্ষণেই বোঝা যায় পরিস্থিতি। ওই ব্যক্তিই তখন বিষ খাওয়ার কথা জানান।
পুলিশে খবর দেওয়ার পর, পুলিশ তাদের অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অনুমান পরিবারের সদস্যরা বিষ পান করেছিলেন মাঝরাস্তায়। সাতজনের মধ্যে তিনজন শিশু বলেও জানা গিয়েছে।
পঞ্চকুলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হিমাদ্রি কৌশিক এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আইন ও শৃঙ্খলা অমিত দাহিয়া খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। দেহ ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে দাবি পুলিশের।
