আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক চুলের জন্য বেঁচে গিয়েছেন। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁদের। প্রথমে বুঝতে পারেননি কিছুই। শুধু শুনেছেন চিৎকার, আর্তনাদ। কিছু ভাল করে বোঝার আগেই চুল ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে গুলি। মুহূর্তে আবার শব্দ, আবার আর্তনাদ হাহাকার। কোনও রকমে পালিয়ে এসেছিলেন ওই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে। তবে প্রাণ হাতে নিয়ে পালাতে পারলেও, পিছু ছাড়ছে না ওই ভয়াবহ মুহূর্ত। কর্ণাটকের পরিবারের পহেলগাঁওয়ের অভিজ্ঞতা পড়ে শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ।

২২ এপ্রিল, পহেলগাঁওয়ের নারকীয় হত্যালীলার মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত ছিল এই পরিবারও। তবে ছেলের জেদ, ম্যাগী খাওয়ার তীব্র ইচ্ছা আর চুলের জন্যই পরিবারের তিনজন, প্রদীপ, শুভা, সিদ্ধান্তের প্রাণ বেঁচে গেল। কীভাবে? ওই পরিবার জানিয়েছে,  প্রায় পৌণে দুটো নাগাদ, আচমকা ছেলে সিদ্ধান্তের খিদে পায়। বাবা-মা বলেছিলেন, সবকিছু ঘুরে দেখে তারপরেই খাওয়া-দাওয়া করা যাবে। তবে ছেলে রাজি হয়নি কিছুতেই। অগত্যা।

সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই পরিবার জানিয়েছে, তারা একটি দোকানে গিয়ে ম্যাগী অর্ডার করে। শুভা একটি পে অ্যান্ড ইউজ শৌচাগারেও গিয়েছিল। ফিরে এসে কিছুটা দ্রুততার সঙ্গেই খাওয়া শুরু করে। সেসবের মাঝেই তাঁরা হঠাত দেখেন, দু’ জন বড় বন্দুক নিয়ে গুলি চালাচ্ছে এলোপাথাড়ি।

প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও, পরে পরিস্থিতি জটিল আন্দাজ করে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়েন। আচমকা শুভার মনে হয়, ব্যাগ রয়েছে টেবিলের উপর, যার মধ্যেই আছে তাঁদের সমস্ত কাগজপত্র। তিনি ওই ব্যাগ নেওয়ার জন্য উদ্যত হতেই বুঝতে পারেন কিছু একটা তাঁর চুল ছুঁয়ে পেরিয়ে গেল। পরক্ষণেই বুঝতে পারেন, গুলি বেরিয়ে গেল, বেঁচে গেলেন মুহূর্তের জন্য। ওই পরিবারের দাবি, তারা ধরেই নিয়েছিল, আর বেঁচে ফেরা হবে না।

 

তাঁরা বেঁচে যান, কিন্তু সেদিনই, সেখানে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে ২৫ জনের। আর্ত চিৎকার, আতঙ্কে ভারি হয়েছে উপত্যকার বাতাস।