আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক বৃদ্ধ রেলকর্মী ও তাঁর বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ের ওপর চরম অত্যাচার। উত্তরপ্রদেশের মহোবা জেলার ঘটনা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চলে সেই পৈশাচিক অত্যাচার। অবশেষে খবর প্রকাশ্যে এসেছে। নিজের বাড়িতেই বন্দি অবস্থায় ঠিকমতো খেতে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হলো ওই বৃদ্ধের। কঙ্কালসার অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর মেয়েকেও। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওমপ্রকাশ সিং রাঠোর (৭০) রেলের উচ্চপদস্থ কর্মী ছিলেন। ২০১৬ সালে স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ে রেশমিকে নিয়ে তিনি আলাদা থাকতে শুরু করেন। দেখভালের জন্য রামপ্রকাশ কুশওয়াহা ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযোগ, ওই দম্পতি ধীরে ধীরে পুরো বাড়ি কবজা করে নেয়। শুধু তাই নয়, ওমপ্রকাশবাবুদের নিচের তলার একটি ঘরে বন্দি করে ফেলে। এমনকী কোনও আত্মীয় দেখা করতে এলে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হতো না।

সোমবার ওমপ্রকাশবাবুর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে আত্মীয়রা বাড়িতে ছুটে গিয়ে আঁতকে ওঠেন। দেখা যায়, দীর্ঘ অনাহারে বৃদ্ধের শরীর শুকিয়ে হাড় বেরিয়ে এসেছে। আর একটি অন্ধকার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় মেয়ে রেশমিকে। তাঁর অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। আত্মীয়দের দাবি, অনাহারে ২৭ বছরের তরুণীকে দেখতে ৮০ বছরের বৃদ্ধার মতো লাগছিল। শরীরের চামড়া হাড়ের সঙ্গে লেপটে গিয়েছিল।

এক সময় সুটেড-বুটেড অবস্থায় দাপিয়ে বেড়ানো ওই রেলকর্মীর এমন করুণ পরিণতি দেখে অবাক প্রতিবেশীরাও। ওমপ্রকাশবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। বর্তমানে রেশমির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা। অভিযুক্ত দম্পতির কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।