আজকাল ওয়েবডেস্ক: বরযাত্রী, ব্যান্ডপার্টি নিয়ে নাচতে নাচতে সীমান্তে পৌঁছেছিলেন রাজস্থানের পাত্র। আর দিন কয়েক পরেই মনের মানুষের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা ছিল। পাকিস্তানি তরুণীকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। ভিসা পেয়েই বিয়ের জন্য পাকিস্তানে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমান্তে পৌঁছেই মাথায় হাত তাঁর। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর সীমান্ত আর পেরোতে পারলেন না তিনি‌। সেই সীমান্তেই বিয়ের সাজপোশাকে ঠাঁয় অপেক্ষায় তিনি। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পাত্রের নাম, সৈতান সিং। তিনি রাজস্থানের বাসিন্দা। চার বছর আগে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের কেশর কানওয়ারের সঙ্গে বাগদান সারেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ভিসার জন্য অপেক্ষা করছিল সৈতানের পরিবার। অবশেষে ১৮ ফেব্রুয়ারি সৈতান, তাঁর বাবা ও ভাই ভিসা পান‌। ৩০ এপ্রিল পাকিস্তানের অমরকোট শহরে কেশরের সঙ্গে তাঁর বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়। 

 

মঙ্গলবার বারমের শহর থেকে ব্যান্ডপার্টি বাজাতে বাজাতে আটারি-ওয়াঘা সীমান্তের উদ্দেশে বরযাত্রীদের সঙ্গে রওনা দেন সৈতান। বুধবার সেখানে পৌঁছেই জানতে পারেন, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আনন্দ, উন্মাদনা মুহূর্তে ম্লান হয়ে যায়। সেই বিয়ের পোশাকেই সীমান্তের কাছে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন সৈতান। 

 

সৈতানের পরিবার জানিয়েছে, এ ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে দুই দেশের দুই পরিবার‌। এই বিয়ের জন্য তাদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষা ছিল। ভিসা পাওয়ায় যারপরনাই খুশি ছিলেন সকলে। যদিও ১২ মে পর্যন্ত সৈতানের ভিসা রয়েছে। তাঁদের আশা, যদি ততদিনের মধ্যে সীমান্ত খুলে যায়, তাহলে পাকিস্তানেই গিয়েই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন তিনি।