আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক ব্যক্তিকে রাতভর গাছে বেঁধে রেখে পিটিয়ে নির্মম অত্যাচার চালাল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার গজপতি জেলায়। ওই ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তির শ্বশুরবাড়ির লোকজনই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম জলন্ত বলিয়ারসিং। তাঁর স্ত্রী সুভদ্রা মালবিসোয়েকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গ্রাম পঞ্চায়েত বৈঠক ডেকে ঠিক করে, স্ত্রীকে কয়েক মাসের জন্য বাপের বাড়িতে পাঠানো হবে।

সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আলাদা থাকার পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক আদালতে শুনানি এখনও হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে জলন্ত বলিয়ারসিং বাজার করতে গিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির গ্রামে। সেখানেই হঠাৎ তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে মুখোমুখি হন। তারপরেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপরই জলন্তকে ধরে একটি খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধর শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রাতভর তাঁকে সেখানেই বেঁধে রাখা হয়। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে মুক্ত করে। বর্তমানে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ওড়িশার অঙ্গুল জেলার একটি বনাঞ্চলে এক আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দু’জন নাবালক। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিলেও, বিজেপি শাসিত ভারতে নারীদের বিরুদ্ধে হিংসা  ও অপরাধের ক্রমবর্ধমান গ্রাফ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  মহিলার অভিযোগ অনুযায়ী, রবিবার (৪ আগস্ট) তিনি তাঁর ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে অঙ্গুলের ছেন্দিপাড়া এলাকার একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বিকাল ৩টার দিকে বাইকে করে ফেরার পথে পেট্রোল পাম্পে গাড়িতে জ্বালানি দিতে এবং খাবার খেতে থামেন তারা। এরপর মহিলা প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বনাঞ্চলে গেলে, সেখানে একটি ট্রাক্টরে করে তিন জন যুবক সেখানে পৌঁছায়।

তারা মহিলাকে জোর করে মূল রাস্তা থেকে দূরে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে মহিলা বাড়ি ফিরে পরিবারকে ঘটনা জানান। ৫ আগস্ট তিনি পুলিশে অভিযোগ দাখিল করলে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে দু’জন নাবালক। অপরাধের সময় ব্যবহৃত ট্রাক্টর, দু’টি মোবাইল ফোন এবং অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর পরিহিত জামাকাপড় জব্দ করা হয়েছে। তারও কিছুদিন আগে ১৫ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার হকি কোচের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা ঘটনার প্রায় কুড়ি দিন পর এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তরুণীর দুই প্রাক্তন কোচও ভয়াবহ এই ধর্ষণকান্ডে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তরুণী প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে কাওকে জানাতে পারেননি৷ ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর তিনি অভিযোগ দায়ের করেন।