আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিরুপতি বালাজির মন্দিরের ঘটনায় এবার সজাগ জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। নির্দেশিকা জারি মন্দির কর্তৃপক্ষের। ভোগ হিসেবে জগন্নাথ দেবকে যে মহাপ্রসাদ দেওয়া হয় সেগুলোর মান পরীক্ষা করতে হবে। নিয়মিত করা হবে এই পরীক্ষা এমনটাই জানিয়েছে মন্দির প্রশাসন।

 

 

ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন শুক্রবার বলেছেন, সরকার এবং মন্দির ট্রাস্ট মহাপ্রসাদের গুণমান অক্ষুন্ন রাখার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য প্রতিটি কাঁচা দ্রব্য মন্দিরের রান্নাঘরে প্রবেশের আগে গুনমান পরীক্ষা করা হবে। এজন্য নিয়োগ করা হবে খাদ্য পরিদর্শক।

 

 

তিরুপতির ঘটনায় আগাম সতর্ক প্রশাসন, এমনটাই জানিয়েছে তারা। উড়িষ্যা সরকার সচেতন এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভগবান জগন্নাথের মহাপ্রসাদে কোনও অপবিত্রতা নেই এবং এটি কখনই হবে না, আশাবাদী ওড়িশার আইনমন্ত্রী। এর আগে অবশ্য ভেজাল ঘি দিয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে প্রদীপ জ্বালানো হত, তবে ভক্তদের বিশ্বাসের কথা মাথায় রেখে সেখানেও গুনগত মান দেখা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

 

প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশের বিখ্যাত তিরুপতি বালাজি মন্দিরে প্রসাদের লাড্ডুতে পশুর চর্বি ব্যবহারের অভিযোগ সামনে এসেছে। মন্দিরের লাড্ডু ঘিয়ের পরিবর্তে পশুর চর্বি দিয়ে তৈরি হত! দিনকয়েক আগে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন খোদ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। মুখ্যমন্ত্রীর এমন অভিযোগ শুনেই পুণ্যার্থীদের কপালে হাত। প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায় সর্বস্তরে।

 

 

মুখ্যমন্ত্রী নাইডুর দাবি ছিল, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের শাসনকালে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুতে পশুর চর্বি থাকত। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসার পর খাঁটি ঘি দিয়েই তৈরি হয় মন্দিরের লাড্ডু। এর আগে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস দাবি করেছেন বাইরের কোনও সংস্থাকে দিয়ে মন্দিরের প্রসাদ তৈরি করা যাবে না। এবার সতর্কতা জারি হল পুরীর মন্দিরেও।