অরিন্দম মুখার্জি

 

স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছিল বলে তাড়াহুড়ো করছিলেন। হঠাৎই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। বিহারের পাটনার ঘটনা। গত শুক্রবার পাটনার দানাপুরে নাসিরগঞ্জে নৌকো করে ঘাট পার হচ্ছিলেন এক শিক্ষক। তাড়াহুড়োর মধ্যেই হঠাৎ পড়ে গিয়ে গভীর জলে তলিয়ে যান তিনি। ক্ষোভ দেখা দেয় শিক্ষক মহলে। এরপরেই শিক্ষকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা নিয়ে এল বিহার সরকার। জানানো হয়েছে, বিহারে সরকারি স্কুলগুলিতে আর তাড়াহুড়ো করে পৌঁছতে হবে না শিক্ষকদের। 

 

 

কিছুক্ষণ দেরিতে পৌঁছলেও তাঁদের হাজিরা একইভাবে নেওয়া হবে। সেটা অনুপস্থিতি হিসেবে গণ্য হবে না। পাটনার দুর্ঘটনার পর শিক্ষকদের আক্রোশ ছিল, সময় মত স্কুলে পৌঁছতে রীতিমত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন শিক্ষকরা। ১০০-রও বেশি শিক্ষক প্রতিদিন গঙ্গা পারাপার করে স্কুলে যাতায়াত করেন। শুক্রবারের ঘটনার পর বিহারের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক ঘন্টা দেরিতে স্কুলে এলেও শিক্ষকদের হাজিরা হবে। জানানো হয়েছে, যে সমস্ত শিক্ষকরা নদী পারাপার করে স্কুলে আসেন তাঁদের জন্যও নতুন সুবিধা আনছে প্রশাসন।

 

 

শিক্ষা সচিব বৈদ্যনাথ যাদব জানিয়েছেন, গঙ্গা পেরিয়ে যাঁরা যাতায়াত করেন সেটা শিক্ষক,কর্মী বা পড়ুয়াই হোক না কেন, তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হবে। ঘাটগুলিতেও পর্যাপ্ত নজরদারি রাখা হবে বিশেষ করে অফিস টাইমে। স্কুল এবং অফিস টাইমে এবার থেকে নৌকোর সময় ঠিক করে দেওয়া হবে প্রশাসনের তরফে। লাইফ জ্যাকেট এবং অন্যান্য সমস্ত খরচের দায়ভার বহন করবে সরকার। আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসে বান আসার সম্ভাবনা থাকে গঙ্গায়। ফলে, ঘাটগুলিতে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি। বিশেষ করে বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলি থেকে যাঁরা এই সময়ে স্কুলে আসেন তাঁদের সময়ে আসা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। সেই কথা ভেবেই এই নয়া নির্দেশিকা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।