আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় ছয় মাস আগে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এলাকা থেকে মাত্র চার বছরের শিশু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনাতে অভিভূত আনন্দ মহিন্দ্রা। শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা মুম্বই পুলিশের এহেন  কাজের জন্য তাদের প্রশংসা করেছেন।

২০২৫ সালের মে মাসের ঘটনা। চিকিৎসার জন্য আরোহী নামের ওই শিশুর পরিবার সোলপুর থেকে মুম্বইয়ে এসেছিল। সিএসএমটি স্টেশনের কাছে তারা যখন বিশ্রাম নিচ্ছিল, তখন সেখান থেকেই মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর তাকে খুঁজে বের করতে মুম্বই পুলিশ বিরাট বড় একটি অভিযান শুরু করে। তারা শত শত সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে, লোকমান্য তিলক টার্মিনাস, ভুসাওয়াল, বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট-এর মতো একাধিক রেল স্টেশন ও শহরে আরোহীর ছবি দেওয়া পোস্টার লাগায় এবং বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। জানা গিয়েছে, কয়েকজন পুলিশ অফিসার নাকি মেয়েটির ছবি নিজেদের পকেটে নিয়ে ঘুরতেন।

অবশেষে বারাণসীতে সেই সাফল্য আসে। সেখানে এক স্থানীয় সাংবাদিক পুলিশের পোস্টার দেখে। আরোহী সেখানকার একটি অনাথ আশ্রমে ছিল। মারাঠি ভাষায় কথা বলত সে। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মেয়েটিকে বারাণসী রেল স্টেশনের কাছে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। পরে তাকে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়। সেখানে তার নাম রাখা হয় ‘কাশী’।

ভিডিও কলের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, সে-ই নিখোঁজ আরোহী। শিশু দিবস, অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর তাকে মুম্বইয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। দীর্ঘ ছ'মাস পর বাবা-মায়ের সঙ্গে তার দেখা হয়। মেয়েকে খুঁজে পেয়ে পরিবারের সকলে আবেগে ভাসেন। পুলিশের এই অক্লান্ত চেষ্টার প্রশংসা করে আনন্দ মহিন্দ্রা একটি গল্প শেয়ার করেন। লেখেন, "মুম্বই পুলিশ! আপনারা আমাদের দারুণ উপহার দিলেন। শুধু এই কাজের জন্যই আপনারা বিশ্বের অন্যতম সেরা পুলিশ বাহিনী।"

তাঁর এই মন্তব্য ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে মুম্বই পুলিশের নিষ্ঠা ও কাজের প্রশংসা করে নিজেদের আবেগ প্রকাশ করেন। যেমন একজন লিখেছেন, "খুব সঠিক কথা বলেছেন। তাঁরা কেবল একটি সফল অপারেশন করেননি, এর চেয়েও অনেক বড় কিছু করেছেন।"

এই ঘটনায় একজন বলেছেন, "এই ধরনের গল্প দেখলে বোঝা যায় মুম্বই পুলিশকে কেন সবাই এত সম্মান করে। একটা ভালো কাজ কঠিন সময়েও সবার মনে আশা জাগাতে পারে এবং মুখে হাসি ফোটাতে পারে।"