আজকাল ওয়েবডেস্ক: টাকার লোভ। মেয়ের পড়াশোনা থামিয়ে, কাজে যোগ দেওয়ার জন্য জোরাজুরি। তবে যে সে কাজ নয়, রীতিমতো যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য মেয়েকে জোরজবরদস্তি করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশী যুবকের বুদ্ধিতে মেয়েকে যৌনকর্মী বানাতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন মা। অবশেষে পুলিশি হেফাজতে ঠাঁই হল‌। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টাকার জন্য ১৬ বছরের কিশোরীকে যৌনকর্মী হতে জোরাজুরির অভিযোগ উঠেছে তার মা ও এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। কিশোরী দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, থানায় অভিযোগটি দায়ের করে ওই ছাত্রীর স্কুলের এক শিক্ষক। কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী, চলতি বছর এপ্রিল মাস থেকে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র টাকার জন্য তাকে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য জোরজবরদস্তি করতেন মা ও এক প্রতিবেশী যুবক। দিনের পর দিন এহেন নির্যাতনের শিকার হয়ে, অবশেষে এক সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলের এক শিক্ষকের কাছে বিষয়টি ফাঁস করে সে। 

কিশোরী আরও জানিয়েছে, বাড়িতে নির্যাতনের কারণে একবার পালিয়ে গিয়ে বন্ধুর বাড়িতে তিনদিন লুকিয়ে ছিল সে। এরপর আবারও বাড়ি ফেরার পর সেই এক হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। এরপরই থানায় তড়িঘড়ি অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষক। অভিযোগের ভিত্তিতে ও কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্ত মা ও প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দু'জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

স্কুল পড়ুয়াদের উপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনা অতীতে একাধিকবার ঘটেছে‌ মহারাষ্ট্রে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই শয্যাশায়ী চার বছরের খুদে ছাত্রী।‌ গোপনাঙ্গে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সে। কিন্তু কী হয়েছে, তা তখনও ভয়ে জানাতে পারেনি। হাসপাতালে পরীক্ষার করার পর জানা গেল, স্কুলের মধ্যে যৌন হেনস্থার শিকার সে। ওই স্কুলের এক মহিলা শিক্ষা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মুম্বইয়ের গোরেগাঁও পুলিশ ৪০ বছর বয়সি এক শিক্ষা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। স্কুলের মধ্যেই চার বছর বয়সি খুদে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ সেপ্টেম্বর। সেদিন ছাত্রীর ঠাকুমা তাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছিল। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই খুদে ছাত্রী জানায়, তার গোপনাঙ্গে যন্ত্রণা করছে‌। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে জানা যায়, খুদে ছাত্রী যৌন হেনস্থার শিকার। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় ওই ছাত্রীর পরিবার। 

ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের মহিলা শিক্ষা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গোরেগাঁও পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই বছর ধরে ওই শিক্ষা কর্মী স্কুলে কর্মরত। অভিযোগ উঠেছে, ওই মহিলা কর্মীকে অশালীন আচরণ করেন ছাত্রীর সঙ্গে। বাধা দিলেও অশ্লীলভাবে স্পর্শ করেন ছাত্রীকে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ। পাশাপাশি স্কুলের আরও একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা।