আজকাল ওযেবডেস্ক: মারাত্মক বায়ু দূষণ নিয়ে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে এক বিক্ষোভ অবস্থানে দেখা গেল নিহত শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মাদভি হিডমার পোস্টার। এই ঘটনায় নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে অন্ধ্রপ্রদেশে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হন হিডমা। রবিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীরা ইন্ডিয়া গেটের সি-হেক্সাগন এলাকায় বসে পথ অবরোধের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে কিছু বিক্ষোভকারী নাকি পুলিশের ওপর পেপার স্প্রে ব্যবহার করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং মাও নেতার পোস্টার কীভাবে সেখানে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা দিল্লির দূষণ নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে একজনের হাতে হিডমার স্কেচসহ একটি পোস্টার রয়েছে।
হিডমাকে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ ১৮ নভেম্বর এনকাউন্টারে হত্যা করে। রবিবার বিক্ষোভে বসার পর তা ক্রমশ দীর্ঘায়িত হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু নির্দেশ না মানলে একে একে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দিল্লিতে অনুমোদিত বিক্ষোভস্থল যন্তর মন্তর, ইন্ডিয়া গেট নয়।
ঘটনায় ১৫ থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষোভ স্থলে পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে দিল্লির উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল মিশ্র বলেন, ‘এ ধরনের মতাদর্শের প্রতি এটি উপযুক্ত জবাব।’ তিনি টুইট করেন, ‘দিল্লিতে দূষণকে হাতিয়ার করে লাল সেলাম আর পোস্টার হাতে বিক্ষোভ। জিহাদি ও নকশালদের নতুন রূপ, সমাজকর্মীর মুখোশে।’
এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল ‘দিল্লি কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর ক্লিন এয়ার’। তারা দিল্লি সরকারের জল ছেটানো, ক্লাউড সিডিংয়ের মতো পদক্ষেপকে ‘প্রসাধনী উদ্যোগ’ বলে সমালোচনা করে।
সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘যখন দেশ পুরো বাতাসকেই বিষাক্ত করে তোলে, তখন টিকে থাকার তাগিদে জনগণের এক হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।’ তাদের বক্তব্য, ক্ষতিকর বাতাস এখন জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘গুরুতর হুমকি’।
সংগঠনের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার নেতৃত্বাধীন দিল্লি সরকার দূষণ রোধে পুরোপুরি ব্যর্থ। তাদের আরও দাবি, বর্তমান উন্নয়ন মডেল, খনন প্রকল্প, বনভূমি উচ্ছেদ এবং ভঙ্গুর এলাকায় একের পর বিল্ডিং নির্মাণ দূষণ বাড়াচ্ছে, জনগণকে ঘরছাড়া করছে এবং আবহাওয়া আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।
