আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইংল্যান্ডের মহিলা দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের সূর্যোদয় হয়েছিল ঝুলন গোস্বামীর। সেটা ছিল ২০০২।
লর্ডসের সবুজ ঘাসের মাঠেই সূর্যাস্ত হয় ঝুলন গোস্বামীর বর্ণময় ক্রিকেট কেরিয়ারের। মাঝে কেটে গিয়েছে ২০ বছর। এই দীর্ঘ কুড়ি বছরে ঝুলন গোস্বামী একাধিক রেকর্ড গড়েছেন।
'চাকদহ এক্সপ্রেস' বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট পেয়েছেন আগেই। সেই খবর ও ছবি আজ ঝুলন পোস্ট করেছেন তাঁর ফেসবুক পেজে। ঝুলন লিখেছেন, ১১ নভেম্বর ২০২৫ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ লিটারেচার গ্রহণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত।
তিনি আরও লেখেন, এই স্বীকৃতি আমাকে আন্তরিকতা, কৌতূহল এবং সততার সঙ্গে আরও অবদান রাখতে উৎসাহিত করবে।
এই স্বীকৃতির জন্য বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, তাদের ফ্যাকাল্টি এবং পশ্চিমবঙ্গের মহামান্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদানের জন্য ডি লিট প্রদান করা হয়।
দেশের হয়ে দুটো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেন তিনি। কিন্তু একবারও ট্রফি জিততে পারেননি। এটাই হয়তো তাঁর আক্ষেপের জায়গা। কিন্তু ঝুলনের সেই আক্ষেপ দূর করেছেন হরমনপ্রীত কৌররা। নবি মুম্বইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে ভারত।
তার পরে আবেগী এক ছবির জন্ম দেয় নবি মুম্বই। বিশ্বজয়ের পরে ট্রফি তুলে দেওয়া হয় ঝুলনের হাতে। তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। জড়িয়ে ধরেছিলেন হরমনপ্রীতকে।
’৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিবেশীর টিভিতে দেখতে বসেই ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ জন্মায় ঝুলনের। সেই শুরু। কিন্তু পাড়া ক্রিকেটে খুশি ছিলেন না। চাইতেন আরও বেশি ক্রিকেট খেলতে। আরও বেশি শিখতে। কিন্তু কাছেপিঠে কোচিংয়ের সুযোগ নেই যে! অগত্যা গন্তব্য কলকাতা। বিবেকানন্দ পার্কে স্বপন সাধুর কাছে প্রশিক্ষণ শুরু ঝুলনের। চাকদহের বাড়ি থেকে কিট ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ভোর ৪.৪৫-এর লোকাল ট্রেনে চেপে জানলার বাইরে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখত সেদিনের আনকোরা মেয়েটা। সেই ঝুলন গোস্বামী ভারতের মহিলা ক্রিকেটের মহীরূহ। তাঁর অবদানের জন্য বাঁকুড়া বিশ্ব বিদ্যালয় ডি লিট দিল তারকাকে।
