নিতাই দে, আগরতলা: গত চার সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবের উপস্থিতিতে নয়া দিল্লিতে এনএলএফটি ও এটিটিএফ-এর মধ্যে রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে শান্তির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রবিবার অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (ATTF) এবং ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (NLFT) নেতৃত্বরা রাজ্যে ফিরেন । রাজ্যে ফিরে তাঁরা আগরতলায় একটি বেসরকারি হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, এই শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার ফলে ATTF এবং NLFT নেতৃত্বরা আশাবাদী এই চুক্তির ফলে ত্রিপুরার, তিপরাসাদের সমস্যা সমাধান হবে এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনজাতির সমাধানে ও এই অঞ্চলের উন্নয়নে ২৫০ কোটি টাকার যে সংস্থান রেখেছে সে টাকাগুলি জনজাতিদের উন্নয়নে কাজে লাগাবে এবং এজন্য রাজ্যের তিপরাসাদের যে কমন দাবিগুলো রয়েছে সে দাবিগুলো নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
তারপর উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনজাতিদের সমাধানে ও এই অঞ্চলের উন্নয়নে ২৫০ কোটি টাকার যে সংস্থান, সে টাকাগুলো খরচ করা হবে বলে জানিয়েছেন NLFT এবং ATTF -এর নেতৃত্বরা। এই শান্তি চুক্তির জন্য এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মানিক সাহাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
পাশাপাশি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত সরকার উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়নের শান্তির জন্য যে প্রচেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে তাতে উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়নের জন্য ভালো হবে। পাশাপাশি NLFT এবং ATTF -এর নেতৃত্বরা এই দিন বলেন অফিসিয়াল ভাবে মাস খানেকের মধ্যে আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানটি করা হবে ত্রিপুরা রাজ্যে। এদিন এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, এনএলএফটির পক্ষে বিশ্ব মোহন দেববর্মা, উপেন্দ্র রিয়াং , পরিমল দেববর্মা , প্রসেনজিৎ দেববর্মা এবং এটিটিএফ এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আলীন্দ্র দেববর্মা-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। সাংবাদিক সম্মেলনের পরে দেখা গেছে NLFT এবং ATTF-এর নেতাদের বহুদিন পরে সামনে পেয়ে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনরা খুশি।
