আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বামী-স্ত্রী। ছবি তুলছিলেন নদীর ধারে। এতক্ষণ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। তবে আচমকাই মুহূর্তের মধ্যে বদলে গেল গোটা পরিস্থিতি। যতক্ষণে নদীর জল থেকে হাবুডুবু খাওয়া ব্যক্তির আর্ত চিৎকার কানে গেল বাকিদের, ততক্ষণে স্ত্রী কোথায়?
কর্ণাটকের রায়চুর জেলার গুর্জপুর ব্রিজ-কাম-ব্যারেজের কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকাই তাঁরা কারও সাহায্যপ্রার্থনার চিৎকার শোনেন। জানান, নদীর মাঝখানে একটি পাথরের উপর থেকে তারা লোকটি সাহায্যের জন্য মরিয়া চিৎকার শুনতে পান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিলেন, ‘আমাকে বাঁচাও ভাই!' সঙ্গেই 'ওকে ধরো! কাউকে ডাকো...' বলেও চিৎকার করছিলেন।
যদিও ইতিমধ্যে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, আজকাল ডট ইন ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে তাতে, ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি স্বামীকে নদীর জলে ঠেলে ফেলেননি। ছবি তোলার সময় অসাবধানতা বসত নদীতে পড়ে যান তিনি।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি রাইচুরের শক্তি নগরের বাসিন্দা এবং তাঁর স্ত্রী ইয়াদগিরের ভাদাগেরা তালুকের বাসিন্দা। ব্যক্তির দাবি, ছবি তোলার সময় আচমকা তাঁর স্ত্রী তাঁকে জলে ঠেলে ফেলে দেন। একদিকে স্বামীর অভিযোগ, অন্যদিকে বারবার তা অস্বীকার করেন স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুক্কণ অভিযোগ, পালটা অভিযোগ, নাটকীয় পরিস্থিতির পর, ওই দম্পতি একসঙ্গেই তাঁদের মোটোরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরে যান।

ঘুরতে গিয়ে ধাক্কা, মৃত্যুর ঘটনা সাম্প্রতিককালে বারেবারে উঠে এসেছে। তার শেষ উদাহরণ মেঘালয় মার্ডার মিস্ট্রি। ১১ জুন বিয়ে করেন রাজা-সোনম। এরপর মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে যান। ২৩ মে থেকে নবদম্পতির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২ জুন পাহাড়ি গভীর খাদ থেকে রাজার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই তারা জানায়, পরিকল্পনামাফিক যুবককে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিখোঁজ স্ত্রীয়ের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। পরিবারের আশঙ্কা ছিল, সোনমকে সম্ভবত অপহরণ করা হয়েছে। ধর্ষণ করে, খুন করে মাটিতেও পুঁতে দিতে পারে। তবে আশঙ্কার মাঝেই গাজিপু থেকে খঁজ মেলে সোনমের। তারপর থেকেই একে একে উন্মোচন হয় গোটা ঘটনা। জানা যায়, বিয়ের আগে থেকেই সোনম প্রেমের সম্পর্কে ছিল রাজ নামের এক যুবকের সঙ্গে। সোনমের বিয়ের ঠিক পাঁচদিন পর রাজ তাঁর ছোটবেলার তিন বন্ধু আনন্দ, আকাশ ও বিশালকে একটি ক্যাফেতে ডাকেন। রাজাকে খুনের পরিকল্পনা জানান। এমনকী বিপুল অর্থের লোভ দেখিয়েছিলেন তাঁদের।
২০ মে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশে রওনা হন রাজা ও সোনম। হাতে ছিল শুধুমাত্র যাওয়ার টিকিট। ফেরাটা ছিল অনিশ্চিত। তাঁদের পিছু নিয়েছিলেন বাকি তিনজন। গুয়াহাটি পৌঁছেই শিলংয়ে চলে যান তিন ভাড়াটে খুনি। সোনম ও রাজার হোমস্টের পাশেই একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা।
শিলং পৌঁছে তিনদিন পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে বেড়ান সোনম ও রাজা। ২৩ মে একটি নির্জন এলাকায় ফটোশুটের ছুতোয় রাজাকে নিয়ে গিয়েছিলেন সোনম। সেই জায়গায় পৌঁছন আনন্দ, আকাশ ও বিশাল। এমনকী রাজার সঙ্গে হিন্দিতে কথাও বলেন তাঁরা। তারপরেই পরিকল্পনা করে খুন করা হয় রাজাকে।
