আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৮৫ বছর বয়সেও যৌন লালসার শিকার এক বৃদ্ধা! শুধু তাইই নয়, যৌন নির্যাতনের পর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বৃদ্ধাকে রাস্তার ধারে ফেলে রেখেই চম্পট অভিযুক্ত তরুণের। অবশেষে শ্রীঘরে ঠাঁই হল তরুণের।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, তিরুবনন্তপুরমে ৮৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ২০ বছর বয়সি এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের পর বৃদ্ধাকে রাস্তার ধারে ছুড়ে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত তরুণ। বুধবার সন্ধ্যায় ভেনজারামোদু থানার অন্তর্গত এক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত তরুণ পেশায় একজন লটারি এজেন্ট ছিল। অভিযুক্তের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা ও শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে একাধিকবার উঠেছে। যৌন হেনস্থা করার অভ্যাস ছিল তার। সে মানসিকভাবে অসুস্থ বলেও দাবি করেছে পরিবার।
আরও জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধাকে এক নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত তরুণ। সেখানে এক ফাঁকা ঘরে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। যার জেরে গুরুতর আহত হন ওই বৃদ্ধা। সেই অবস্থায় বৃদ্ধাকে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। স্থানীয়রাই রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে দেখতে পান। তাঁরাই উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধার গুরুতর চোট পেয়েছেন। পরীক্ষার পর জানা যায়, তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপরই থানায় মামলা রুজু করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে।
গত মাসে আরও একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ছ'বছরের নাবালিকাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ। এখনও অধরা অভিযুক্ত তরুণ। নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মধ্যপ্রদেশ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বাসিন্দারা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই যৌন লালসার শিকার হয় ছ'বছরের এক নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে রাইসেন জেলায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত তরুণ। নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত ২৩ বছরের তরুণের গ্রেপ্তারির দাবিতে সোমবার রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ।
সেই বিক্ষোভে সামিল হন ভোজপুরের বিধায়ক সুধীর বর্মা। রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান সকলে। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেশ লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, অভিযুক্ত তরুণের সন্ধান দিতে পারলে দশ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ধর্ষণের পর আরও দু'ঘণ্টা নির্যাতিতা নাবালিকা অপেক্ষা করেছিল অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৪৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ জনতা। চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল ওই সড়কে। ১৪ কিমি লম্বা রুটে স্তব্ধ ছিল যান চলাচল।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ২১ নভেম্বর। গোহারগঞ্জে বাড়ির বাইরে খেলাধুলা করছিল নাবালিকা। সেই সময় চকোলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত তরুণ নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর নির্জন এলাকায় তাকে ধর্ষণ করে। দীর্ঘক্ষণ পর ওই জঙ্গল থেকে নাবালিকার কান্নার আওয়াজ শুনতে পান গ্রামবাসীরা। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর জানান, নাবালিকা যৌন লালসার শিকার হয়েছে।
