আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্মম হত্যার পর কি আত্মঘাতী? মূল অভিযুক্তর দেহ উদ্ধারের পর, তেমনটাই মনে করছে পুলিশ। গত কয়েকদিন তোলপাড় মহালক্ষ্মী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে। যে ঘটনা ফের সকলের মনে দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ডের ভয়াবহতা ফিরিয়ে এনেছে। মহালক্ষ্মীর মূল অভিযুক্ত প্রাথমিক ভাবে পলাতক থাকার পর, পুলিশ জানতে পারে, সে রয়েছে ওড়িশায়। বেঙ্গালুরু পুলিশের দল ওড়িশা পৌঁছলে অভিযুক্তর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বলে খবর এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছে।
বেঙ্গালুরুর মহালক্ষ্মী। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছিল কয়েক টুকরোয়। টুকরো অবস্থায় ভরে রাখা হয়েছিল ফ্রিজে। বেঙ্গালুরুর ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন মহালক্ষ্মী। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর দেহ অন্তত ৩০ টুকরো করে কাটা হয়েছল। তরুণীর মা জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ের ফ্ল্যাটের মালিকই প্রথম খবর দেয় পরিবারে।
মহালক্ষ্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দিল্লি শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া দেখছেন অনেকেই। মহালক্ষ্মীর এই মৃত্যু কী ভাবে। কে, কেন খুন করেছে, নেপথ্যে কারণ কী? তা নিয়েই ছিল জল্পনা। তার মাঝেই পুলিশ জানিয়েছিল, এই হাড়হিম করা কাণ্ডে সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। প্রথমেই পুলিশ জানায়, ঘটনায় যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে, সে একজন বহিরাগত। মূল অভিযুক্ত মুক্তিরঞ্জন রায়কে ধরার জন্য এদিন পুলিশ বাহিনী যায় ওড়িশায়।
