আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃষ্টির সময় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি পড়বে এটাই তো স্বাভাবিক। আর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, গ্রাম-গ্রামান্তরে বৃষ্টি পড়ে একাধিক মৃত্যুর খবর মাঝে-মাঝেই কানে আসে। কিন্তু এ বারে বাজ পড়ার ঘটনায়, যা ঘটল, সেটা শুনলে চমকে যেতে পারেন পাঠক। ছত্তিশগড়ের কোবরা জেলায় এমনই এক বৃষ্টি ভেজা দুর্যোগের দিন ঘটে গেল এই ঘটনা, যা উঠে এল জাতীয় সংবাদমাধ্যমেও। 

 


উল্লেখ্য, এ দিন কোবরা জেলার হারদিবাজার থানা এলাকার মহয়াদিহ গ্রামে গবাতি পশু চরাতে গিয়েছিলেন হারিশ বিঞ্জওয়ার নামে একজন। তাঁর বয়স বছর ১৫। সেখানে আচমকা বাজ পড়ে। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ওই জেলারই রাজগামা এলাকার ঘটনা। সেখানে এক পুরোহিত মন্দির থেকে পুজো করে ফিরছিলেন একটি মন্দিরের পুরোহিত। ওই পুরোহিতের নাম জগৎ সিংহ। সেখানেই রাস্তায় যাওয়ার পর বাজ পড়ে। 

 


বাজ পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁর। অর্থাৎ, একই দিনে মৃত্যু হয় দুজনের। পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। হারিশ বিঞ্জওয়ার নামে একজন হারদিবাজার থানা এলাকায় মহয়াদিহ গ্রামে গবাদি পশু চরাতে গিয়েছিলেন। সেখানেই মাঠে বজ্রপাতে মারা যান তিনি। ওই জেলারই রাজগামা এলাকায় একটি মন্দিরে পুরোহিত পুজো করে ফিরছিলেন। পথের মধ্যে বাজ পড়ে। সেখানে সঙ্গে সঙ্গে তিনি মারা যান বলে জানা গিয়েছে। ওই পুরোহিতের নাম জগৎ সিং ওঁরাও খবর পুলিশ সূত্রে। 

 


দুটি ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে লিপিবদ্ধ করেছে পুলিশ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। 
গত কয়েকদিন ধরে ছত্তিশগড়ে মৃত্যু বেড়েছে বজ্রপাতে। দুদিন আগেও সে রাজ্যে বালোদাবাজার ভাটাপাড়ায় বজ্রপাতে একইসঙ্গে সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল।  সেদিনের বজ্রপাতে তিন জন আহতও হয়েছিল। সে সময় তারা মাঠে কাজ করছিল বলে জানা গিয়েছে। বৃষ্টি পড়ায় কাজ থামিয়ে একটি পুকুরের কাছে জড়ো হয়েছিল সকলে। তখনই তাদের ওপর বজ্রপাত হয়। ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা।