আজকাল ওয়েবডেস্ক: খাতায় কলমে এসে গিয়েছে লা নিনা। বেশ কয়েক মাসের অপেক্ষার পর প্রশান্ত মহাসাগরের পরিস্থিতি যেভাবে তৈরি হয়েছে তাতে বলাই যায় এবার ঘর করতে চলে এসেছে লা নিনা। তবে লা নিনার ফলে কতটা প্রভাবিত হতে পারে শীত। হাওয়া অফিস বলছে, লা নিনা আসতে অনেকটা বেশি সময় নিয়েছে। গত বছর থেকেই নিজের রাস্তা তৈরি করছিল না নিনা। এবার সে গতি পেয়ে নিজের জায়গায় এসেছে।


লা নিনার ফলে এবার প্রভাব পড়তে পারে শীতের পরিবেশেও। ফলে শীতের শেষদিকে নিজের কাজ শুরু করবে লা নিনা। শীতের পথে সে বাধা তৈরি করবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট মত দেখা যায়নি। তবে লা নিনা যে এবার ফের নতুন করে চিন্তা তৈরি করবে সেটা স্পষ্ট।


চলতি বছর তীব্র ঠাণ্ডার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কাশ্মীর। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এবার শীতকাল জুড়ে কাশ্মীরে প্রায় প্রতিদিনই ভারী তুষারপাত এবং শূন্যের নিচে তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যাবে। এর মূল কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে লা নিনার প্রভাব। কেন্দ্রীয় প্রশান্ত মহাসাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেলে এটি বায়ুমণ্ডলের চলাচল পদ্ধতিকে ব্যাহত করে যা কিনা বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার পরিবর্তন আনে। তখনই সৃষ্টি হয় লা নিনার।

 


লা নিনার প্রভাব শীতকালে আরও বাড়বে। এর আগেও লা নিনা কাশ্মীরে উল্লেখযোগ্য তুষারপাত নিয়ে এসেছে। এই বছর এর প্রভাব আরও তীব্র হবে’। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত এবং  কম তাপমাত্রা দেখা যেতে পারে। নভেম্বর মাসেই তিনবার তুষারপাত হয়েছে কাশ্মীরে। ফলে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। রাতের তাপমাত্রা নিয়মিতভাবে শূন্য থেকে মাইনাস পাঁচের মধ্যে রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে কাশ্মীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

 


এই বছরের শীতকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বলেই মনে করছে। লা নিনার প্রভাবে তুষারপাত এবং হিমশীতল আবহাওয়া কাশ্মীরকে আবারও তুষার ভূমিতে পরিণত করবে বলে জানানো হয়েছে। গত বছর, এল নিনোর প্রভাবে তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছিল কাশ্মীরে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি দেখা গিয়েছিল। তবে এই বছর লা নিনার প্রত্যাবর্তনের ফলে কাশ্মীর ফের টানবে পর্যটকদের। অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে স্বাভাবিক জনজীবন পালন করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পরিবহণ এবং জরুরি পরিষেবাও।