আজকাল ওয়েবডেস্ক:  বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতের মাটিতে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা কুনো চিতাকে বাঁচিয়ে রাখার কাজটি চলছে। তবে যতটা নজর দিয়ে এদেরকে বাঁচিয়ে রাখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে সেখানে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।


মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে কুনো চিতাদের নিতে আসা হয়েছিল নামিবিয়া থেকে। ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এই কুনো চিতাদের নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে সরকারি মতে যে খবর মিলেছে সেখান থেকে দেখা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত এখানে ২৬ টি চিতাকে নিয়ে আসা হয়েছে যেখানে ১০ টি চিতা মারা গিয়েছে। 

 


এখানেই অনেকটা চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ কর্তৃপক্ষ। তারা মনে করছেন যে পরিবেশ থেকে এই চিতাগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছিল সেখান থেকে এদেশের মাটিতে এসে এরা মানিয়ে নিতে পারছে না। পাশাপাশি এদের যে পরিমান খাবার বা এরা যে ধরণের শিকার করতে এতদিন ধরে অভ্যস্ত ছিল সেখানেও এদের সেই কাজ হচ্ছে না। ফলে এদের এই পরিবেশগত বাধার ফলে ভারতের মাটিতে এরা বেঁচে থাকতে পারছে না। এটি একটি চিন্তার বিষয়।

 


অন্যদিকে আরেকদল মনে করছে কুনো চিতারা যে ধরণের পরিবেশে থাকতে অভ্যস্ত সেখান থেকে ভারতের মাটি তাদের পক্ষে আদর্শ। এদেশের বন্য পরিবেশ কুনো চিতাদের মানিয়ে নিতে খুব বেশি অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সেজন্যেই অন্য কোনও দেশের চিতা নিয়ে আসার তুলনায় নামিবিয়া থেকে কুনোদের নিয়ে আসা হয়েছে। তবে সমস্যা হল এরা সঠিক মাপে খাবার পাচ্ছে না। যে ধরণের খাবার খেতে এরা অভ্যস্ত সেখানে এদের টান পড়েছে। পাশাপাশি শিকার করা খাবারের উপর এদের বেশি টান থাকে। সেখানে হাতের কাছে মরা খাবার দেখে এরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।


বর্তমানে কুনো চিনাদের জন্য জীবন্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে। এরফলে এরা খানিকটা হলেও খুশি। কুনো চিতাদের স্বভাব অনুসারে চলে সেইমতো পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এখানে বন বিভাগ সেই কাজে সর্বদাই চেষ্টা করছে। কুনো চিতারা যদি এদেশের মাটিতে এসে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে থাকে তাহলে সেখান থেকে এদের এখানে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সেদিকেই এখন জোর দেওয়া হয়েছে।