আজকাল ওয়েবডেস্ক: মন্দিরে সাফাইকর্মীর কাজ করতে গিয়ে বড়সড় বিপদের মুখে পড়েছিলেন। নদীর ধারে পড়ে থাকা নির্যাতিতাদের নিথর দেহ লোপাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই দেহগুলি পুড়িয়ে, মাটিতে কবর দিয়ে দিতেন। এক দশক পর সেই ঘটনা ঘিরে থানায় মুখ খুললেন ওই ব্যক্তি। যা শুনেই চোখ ছানাবড়া পুলিশের। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সাফাইকর্মী জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর নির্যাতিতাদের দেহ জ্বালিয়ে, মাটিতে পুঁতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। নির্যাতিতাদের তালিকায় একাধিক স্কুল পড়ুয়াও ছিল। ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ধর্মস্থালা ও সংলগ্ন এলাকায় ধর্ষণের শিকার একাধিক নির্যাতিতাকে মাটিতে পুঁতে দিতেন এই সাফাইকর্মী। 

 

ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, ১১ বছর আগেই পরিবারের সঙ্গে ধর্মস্থালা ছেড়ে তিনি অন্যত্র বসবাস করেন। পুলিশকে নিজের পরিচয় গোপন রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন। পরিচয় ফাঁস হলে তাঁর ও পরিবারের প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। আদালতের বিশেষ অনুমতি নিয়ে, ঘটনাটি ফাঁস করেছেন। 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি জানান, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ধর্মস্থালা মন্দিরে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। নদীর ধারেই ছিল মন্দির। প্রায়ই আশেপাশে একাধিক মৃতদেহ দেখতে পেতেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় সবগুলোই মহিলাদের। তাঁর ধারণা ছিল, কেউ হয়তো আত্মহত্যা করেছেন, বা জলে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু কয়েকজনের শরীর ছিল নগ্ন। সারা শরীরে নখের আঁচড়। নির্যাতনের ছাপ ছিল স্পষ্ট। তখনই জানতে পারেন, এঁরা সকলেই ধর্ষণের শিকার। 

 

তিনবছর পর কর্মকর্তা তাঁকে দেহগুলি চুপিসারে মাটির তলায় পুঁতে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রথমে এই কাজে নারাজ ছিলেন তিনি। তখনই ব্যাপক হেনস্থা করা হয়েছিল তাঁকে। চাপে পড়ে শেষমেশ নির্যাতিতাদের দেহ জ্বালিয়ে, দেহ মাটিতে পুঁতে দিয়েছিলেন। সেই নির্যাতিতাদের বিচারের দাবিতে অবশেষে থানায় এসে অভিযোগ জানালেন সাফাইকর্মী।