আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে আন্তর্জাতিক অস্ত্রপাচার চক্রের পর্দা ফাঁস। চীন ও তুরস্কে তৈরি অস্ত্র ভারতে সরবরাহ করছিল চক্রটি। পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর সঙ্গে জড়িত এই পাচারচক্র সিন্ডিকেট ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তান থেকে ভারতে উচ্চমানের পিস্তল পাচার করছিল বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ অস্ত্রপাচার চক্রের চারজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে পাঞ্জাবের একজন ওয়ান্টেড অপরাধী মনদীপ এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী, রোহান এবং মনু-ও রয়েছে। এই দু'জনই উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। পুলিশ ১০টি বহুমূল্যের বিদেশি পিস্তল এবং ৯২টি তাজা কার্তুজও উদ্ধার করেছে।
সোনু খাত্রি গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত মনদীপের বিরুদ্ধে হত্যা-সহ অসংখ্য ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে এই বিদেশি অস্ত্র ভারতে সরবরাহ করা হচ্ছিল বলে সূত্রের খবর। তদন্তে জানা গিয়েছে যে, ড্রোনগুলি নির্দিষ্ট স্থানে অস্ত্রের চালান ফেলেছিল। চালানগুলি কার্বন পেপারে মোড়ানো ছিল যাতে স্ক্যানারগুলি সনাক্ত না করে। এরপর গ্যাংয়ের সদস্যদের এই ড্রপ লোকেশন থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে দিল্লিতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর দিল্লি এবং আশেপাশের রাজ্যগুলিতে অপরাধীদের কাছে এই অস্ত্র সরবরাহ করা হত।
সূত্র জানিয়েছে, এই চক্রের প্রধান নিয়ন্ত্রক জসপ্রীত ওরফে জাসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন এবং পাকিস্তানে তাঁর হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখেন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি মোবাইল ফোন, ব্যাঙ্কের বিবরণ এবং সোশ্যাল মিডিয়া রেকর্ড ব্যবহার করে এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের এবং তাদের সংযোগগুলি সম্পর্কেও তদন্ত করছে।
গত সোমবার জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর দিল্লি এবং দেশের অন্যান্য অংশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ১০ নভেম্বর লালকেল্লা কাছে, উমর-উন-নবি নামে এক আত্মঘাতী জঙ্গির হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণে ১৫ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন। ুমরই গাড়ি চালাচ্ছিল।
বিস্ফোরণের কয়েক ঘন্টা আগে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ঘোষণা করেছিল যে- তারা একটি আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক "হোয়াইট-কলার" সন্ত্রাসবাদী মডিউলের সন্ধান পেয়েছে, যারা পাকিস্তান-ভিত্তিক জইশ-ই-মহম্মদ এবং আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, ২,৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বাজেয়াব্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও রয়েছে। এই বিস্ফোরকই দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
