আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাহাড়ি গন্তব্যে মাত্রাছাড়া খাবারের দাম! যা বিরক্তির কারণ হয়ে উঠছে পর্যটকদের কাছে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত খারাপ অভিজ্ঞতা এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন উদিত ভাণ্ডারী। বিষয়টি বোঝাতে সিমলা থেকে দু'ঘন্টা দূরে অবস্থিত নারকান্দার একটি হোটেলের মেনুর ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। তারপরই ওই পোস্টের ক্যাপশনে, ভাণ্ডারী লিখেছেন, "ভারতে হোটেল এবং রেস্তোরাঁর দাম আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বেমানান, কেমন যেন পাগল পাগল লাগছে। বিদেশিরাই একমাত্র এখানে আসতে পছন্দ করেন।"

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">January 13, 2025

আকাশছোঁয়া মেনু:
ডাল মাখানি, কড়াই পনির, পনির বাটার মশালা, পোলাউ- এইসব পদের একটার দামও ৭০০ টাকার নীচে নয়। আর বাঙালির প্রিয় রসগোল্লা বা গুলাব জামুনের দাম জানেন? শুনলে বিশ্বাসই হবে না! একটা রসগোল্লা বা গুলাব জামুনের দাম ২৯৯ টাকা।

ডাল মাখানি - ৭৫০ টাকা

কড়াই পনির -  ৭৯৯ টাকা

পনির বাটার মশলা - ৭৯৯ টাকা

পোলাও - ৬৯৯ টাকা

একটি গুলাব জামুন বা রসগোল্লা - ২৯৯ টাকা

ভারতীয় হোটেল, রেস্তোরাঁগুলি কী দেশীয় পর্যটকদের কাছে বিভীষিকা হয়ে উঠেছে? মাথাচাড়া দিচ্ছে এই প্রশ্ন।

এমন লাগাম ছাড়া দাম দেখে উদিত ভাণ্ডারীর এক্স পোস্টে মন্তব্য়ের ঝড়। বেশিরভাগই হোটেল, রেস্তোরাঁর ক্রমবর্ধমান খরচ এবং মান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। একজন লিকেছেন, "একটি গুলাব জামুনের জন্য ২৯৯ টাকা? একটি পাঁচ তারা হোটেলও এত দাম নেবে না!" ব্যঙ্গাত্মকভাবে একজন মন্তব্য করেছেন, "এই দামে আশা করি  সোনার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি ডাল আসবে।"

কেউ কেউ দাম এবং মানের মধ্যে বৈষম্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। লিখেছেন, "এই কারণেই পর্যটকরা বিদেশে যাচ্ছেন। এই দাম খাবার বা অভিজ্ঞতার ন্যায্যতা প্রমাণ করে না।" অনেকেই সাধারণ ভ্রমণকারীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেছেন, "ভারতে সাশ্রয়ী মূল্যের ভ্রমণ একটি মিথ হয়ে উঠছে।"

তবে বেশ কয়েকজন চড়া মূল্য নির্ধারণের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। পরামর্শ দিয়েছেন যে, পাহাড়ি গন্তব্যে পরিচালনগত ব্যয়ের কারণে দাম এত বেশি হতে পারে।  তবে, ব্যাপক নিন্দার কারণে এইসব যুক্তি চাপা পড়ে গিয়েছে।