আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুখের সময় কি শেষ? কানাঘুষো চলছিল আগে থেকেই। সোমবার তাতে সিলমোহর পড়ল। ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করল ভারতীয় রেল। সোমবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতীয় রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, ১ জুলাই মঙ্গলবার থেকে নন-এসি মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি এক পয়সা এবং এসি ক্লাসের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
মন্ত্রকের এক আধিকারিক এর আগে ২৪ জুন প্রস্তাবিত ভাড়া সংশোধনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ট্রেন এবং শ্রেণী বিভাগ অনুযায়ী ভাড়া তালিকা-সহ সরকারি বিজ্ঞপ্তি সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক যাত্রীদের স্বার্থে শহরতলির ট্রেন এবং মাসিক সিজন টিকিটের ভাড়া অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। এর বেশি দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে আধা পয়সা টিকিটের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থাৎ, ৫০১ থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য ৫ টাকা, ১৫০১ থেকে ২৫০০ কিলোমিটারের জন্য ১০ টাকা এবং ২৫০১ থেকে ৩০০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য ভাড়া ১৫ টাকা বৃদ্ধি পাবে।
একইভাবে, স্লিপার ক্লাস এবং ফার্স্ট ক্লাস (সাধারণ) ভাড়াও প্রতি কিলোমিটারে আধা পয়সা বৃদ্ধি পাবে। নন-এসি মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির সেকেন্ড ক্লাস, স্লিপার ক্লাস এবং ফার্স্ট ক্লাসে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। এসি চেয়ার কার, এসি থ্রি-টায়ার, এসি টু-টায়ার এবং এসি ফার্স্ট ক্লাস (এক্সিকিউটিভ ক্লাস এবং ইএ সহ) সহ এসি ক্লাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে দুই পয়সা ভাড়া বৃদ্ধি পাবে।
তেজস রাজধানী, রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত, বন্দে ভারত, হামসফর, অমৃত ভারত, মহামনা, গতিমান, অন্ত্যোদয়, গরিব রথ, জনশতাব্দী, যুব এক্সপ্রেস-সহ প্রিমিয়াম এবং আধা-প্রিমিয়াম ট্রেন পরিষেবাগুলির জন্য সংশোধিত ভাড়া কাঠামো প্রযোজ্য হবে।
রিজার্ভেশন চার্জ, সুপারফাস্ট সারচার্জ, বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফিতে কোনও পরিবর্তন হবে না। যা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আলাদাভাবে আরোপ করা হবে। পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) পুরনো নির্দেশিকা অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে।
যারা নিয়মিত অফিস বা স্কুলে যাওয়ার জন্য এমএসটি ব্যবহার করেন, তাদের জন্য ১ল জুলাইয়ের পরেও ভাড়া অপরিবর্তিত থাকবে। যা লক্ষ লক্ষ যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত স্বস্তির বিষয়।
ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য নিয়ম আরও কঠোর করছে রেল। ১ জুলাই থেকে শুধুমাত্র আধার যাচাই করা যাত্রীরাই আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তৎকাল টিকিট বুক করতে পারবেন। ১৫ জুলাই থেকে তৎকাল বুকিং প্রক্রিয়ার সময় একটি ওটিপি-ভিত্তিক আধার যাচাই বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং জালিয়াতি বুকিং কমানো।
এছাড়াও ট্রেন ছাড়ার আট ঘণ্টা আগে চূড়ান্ত রিজার্ভেশন চার্ট তৈরির কাজও করছে রেল। আগে যা ছিল চার ঘণ্টা। এর ফলে ওয়েটিং লিস্টে যাত্রীদের সুবিধা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ তাদের টিকিট অনিশ্চিত থাকলে বিকল্প পরিকল্পনা করার জন্য অতিরিক্ত সময় পাওয়া যাবে।
