আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লি থেকে জয়পুরের দূরত্ব প্রায় ৩৫০ কিমি। এই দূরত্বই পৌঁছনো যাবে মাত্র ৩০ মিনিটে, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের। রেলমন্ত্রকের সহায়তায় আইআইটি মাদ্রাজ ৪২২ মিটার দীর্ঘ ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক তৈরি করে ফেলেছে। এই ট্র্যাকে ট্রেন ছুটবে ঘণ্টায় ১১০০ কিমি বেগে, যা বুলেট ট্রেনের থেকেও বেশি। বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৫০ কিলোমিটার। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব হাইপারলুপ লাইনের ভিডিও সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। সেখানে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, 'পরিবহণ এবং গতির দুনিয়ায় এই ট্রেন এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।

 

আইআইটি মাদ্রাজের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই প্রকল্পটির কাজ চলছে। বর্তমানে, ৪১০ মিটার দীর্ঘ এই হাইপারলুপ পরীক্ষামূলক টিউবটি এশিয়ার দীর্ঘতম টেস্ট ফেসিলিটি। হাইপারলুপ হল একটি উচ্চ-গতির ট্রেন, যা শূন্যচাপে একটি টিউবের মধ্যে চলে। রবিবার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লেখেন, ‘এশিয়ার দীর্ঘতম হাইপারলুপ টিউব (৪১০ মিটার)... শীঘ্রই এটি বিশ্বের দীর্ঘতম হবে’। উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী আইআইটি মাদ্রাসের ডিসকভারি ক্যাম্পাসে অবস্থিত এই হাইপারলুপ পরীক্ষামূলক কেন্দ্র পরিদর্শন করেছিলেন। হাইপারলুপ ট্রেন হল যাত্রী এবং মাল বহনের জন্য উচ্চগতির পরিবহন ব্যবস্থা।

 

একটি হাইপারলুপ ট্রেন একটি ভ্যাকুয়াম ক্যাপসুল টিউবের মধ্যে দিয়ে চৌম্বক প্রযুক্তির সাহায্যে একটি পডের উপর চলে। টিউব ঘর্ষণহীন হওয়ায় ট্রেনের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০০ কিমিতে পৌঁছতে সক্ষম। যদিও জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেলের হাইপারলুপ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘন্টায় ৬০০ কিমি। এই ট্রেনের ক্ষেত্রে টিউবের মধ্যে কোনও বাতাস থাকে না। ফলে ট্রেনটির সামনের দিকে এগোতে বায়ুমণ্ডলের কোনও বাধা থাকে না। তাই অতি দ্রুত ট্রেন এগিয়ে যেতে পারে। তাই একে বলে হাইপারলুপ ট্রেন। সাধারণ ট্রেনের মতো হাইপারলুপ ট্রেনের একাধিক কামরা নেই, মাত্র একটি কামরা থাকে। মূলত বিদ্যুতেই চলে এই অত্যাধুনিক অতিগতিসম্পন্ন এই ট্রেন।