আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্মত হয়েছে ভারত-চিন। ২০২০ সাল থেকে বন্ধ কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা ফের চালু হবে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এবং চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মধ্যে সোমবার বৈঠক হয়। সেখানেই মানস সরোবরের পুণ্যার্থীদের জন্য সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালুর জন্য নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে নয়াদিল্লি এবং বেজিং।

বিদেশ মন্ত্রকের এক বিবৃতি অনুযায়ী, "ভারত-চিন উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের গরমে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কীভাবে তা সম্ভব সেসব দিক নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তারা জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ এবং আন্তঃসীমান্ত নদী সম্পর্কিত অন্যান্য সহযোগিতা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারত-চিন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে প্রাথমিক বৈঠক করতেও সম্মত হয়েছে।"

ওই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ যে, "উভয় পক্ষই স্বীকার করে যে ২০২৫ সাল, ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী, পারস্পারিক আরও ভাল সচেতনতা তৈরি এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও ভরসা পুনরুদ্ধারের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা উচিত। এই বার্ষিকী উপলক্ষে উভয় পক্ষ বেশ কয়েকটি স্মারক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।"

প্রত্যেক বছরই জুন থেকে সেপ্টেম্বর মধ্যে ভারত থেকে তিব্বতের মানস সরোবরে যাত্রা করেন ভারতীয় পুণ্যার্থীরা। প্রায় প্রতিবছরই কয়েক হাজার পুণ্যার্থী যান কৈলাসে। বিদেশমন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে এই যাত্রা৷ মূলত নাথু লা ও লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত থেকে তিব্বতে প্রবেশ করেন পূণ্যার্থীরা। তারপর কড়া নিরাপত্তা বলয়ে তাঁদের কৈলাস পর্যন্ত নিয়ে যায় চিনা প্রশাসন। কিন্তু ২০২০ সালে কোভিড অতিমারীর কারণে এই যাত্রা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর গালওয়ান সংঘাতের জেরে  ভারত-চিন সম্পর্ক তলানীতে পৌঁছায়। তার জেরে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা। তবে, গত বছর প্রচুর কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই চিনের তরফে এই যাত্রা শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ফলে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়।