আজকাল ওয়েবডেস্ক: গলদঘর্ম দশা থেকে রেহাই পেতে ইচ্ছেমতো এসি চালানোর অভ্যাস অনেকের। তাপপ্রবাহের মধ্যেও চার দেওয়ালের মধ্যে বসে পাহাড়ের ঠান্ডার আমেজ পেতে কার না ভাল লাগে! কিন্তু এর জেরেই বড় বিপত্তি। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য কেন্দ্র এবার নতুন নিয়ম জারি করার আলোচনা করছে। এবার থেকে ইচ্ছেমতো এসির তাপমাত্রা আর বাড়ানো কিংবা কমানো যাবে না!
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এবার থেকে এসি আর ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে কমানো যাবে না। এমনকী ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরেও রাখা যাবে না। ২০ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে এসির তাপমাত্রা।
গতকাল, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর জানিয়েছেন, বিদ্যুতের খরচ বাঁচাতে এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কেন্দ্রের তরফে নতুন নিয়ম আনা হতে পারে। তা নিয়ে আলোচনাও চলছে। ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে এসির তাপমাত্রা কমানো যাবে না। বাড়িতে হোক বা কর্মক্ষেত্র, সর্বত্র এসির তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে।
গতকাল মৌসম ভবন জানিয়েছিল, দিল্লিতে আগামী দু'দিন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকবে। ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো গরম অনুভূত হবে। দাবদাহের পরিস্থিতিতে অনেকেরই অভ্যাস ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রিতে এসি চালিয়ে, ঠান্ডার আমেজ নেওয়া। এই পরিস্থিতিতেও এবার থেকে ২০ ডিগ্রির নীচে আর এসি চালানো যাবে না।
ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি জানিয়েছে, দেশের অধিকাংশ জায়গায় এসির তাপমাত্রা ২০ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা হয়। কিন্তু কয়েক ডিগ্রি বাড়ালেই বহু পরিবর্তন লক্ষ করা যাবে। ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্য রাখলেই ঠান্ডার আমেজ পাওয়া যায়। ২০ থেকে ২৪ ডিগ্রির মধ্যে এসি চালালে বিদ্যুতের খরচ প্রতি মাসে ২৪ শতাংশ কমবে। এরপর আরও ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি করলে অতিরিক্ত ৬ শতাংশ বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে।
