আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলেজ ছিল। এক সময়ে সারাদিন সেখানে নানা পরীক্ষামূলক কাজকর্ম চলত। কয়েক দশকের এদিক ওদিক। এখন ওই কলেজের আশেপাশে মাড়াতেও ভয় পান স্থানীয়রা। কেউ কেউ বলে থাকেন, সেখানে রাতের অন্ধকারে গেলেই অদ্ভুত শব্দ পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলেন, দিনের আলোতেও ভয় কিছু কম লাগে না। একের মুখে গা ছমছমে গল্প শুনে, আর একজন, সেখান থেকে আর একজনকে বলে, এখন ওই কলেজের হাড়হিম ঘটনা মুখে মুখে। যদিও এই বিশেষ জায়গার উল্লেখের আগেই, উল্লেখ প্রয়োজন, নানা শহরেই এই ধরনের এক বা একাধিক স্থান থাকে, যা নিয়ে লোকমানসে নানা ধারণা, ভীতি থেকে থাকে।
এখানে উল্লেখ করে হচ্ছে হায়দরাবাদের এক কলেজ। হায়দরাবাদের খায়রাতাবাদ বিজ্ঞান কলেজ। যা একসময়ে ওই শহরের এবং অন্যান্য শহরের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য অতি জনপ্রিয় ছিল। তবে একতা সময় পরে বদলে যায় গোটা ছবিটা। এখন যদি ওই শহরের সাধারণ বাসিন্দাদের কোনও ভয়ের স্থানের কথা জিজ্ঞাসা করা হয়, উত্তর হিসেবে অনেকেই চটজলদি ওই কলেজের নাম উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সব দেশের মধ্যে নাক গলাচ্ছেন ট্রাম্প, সত্যিই কি যুদ্ধ থামাতে চান না কি অন্য কোনও মতলব আছে...
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে, পুনরায় সামনে এসেছে খায়রাতাবাদ বিজ্ঞান কলেজের ঘটনা। জানা যায়, এক সময়ে ওই কলেজ সাধারণের মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিল কলেজের বড় ল্যাবেরটরি, পরীক্ষার জন্য। সারাদিন ভিড় থাকত পড়ুয়াদের। কিন্তু এখন? কলেজটি এখন ধ্বংসাবশেষের মতো দাঁড়িয়ে আছে। দরজাগুলি ভাঙাচোরা। খুলে পড়ে গিয়েছে কিছু অংশ। কিছু অংশে মরচে ধরেছে। ঝড় জলে কেবল শব্দ হয় ভাঙা দরজা-জানালার। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করলে, বর্ষীয়ানরা পুরনো কথা মনে করেন। যখন ওই কলেজ পড়ুয়া-ভর্তি থাকত। অরে একদিন নাকি, ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় ওই কলেজের একটি অংশ ধসে পড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় ব্যাপক হইচই হয়। ওই কলেজের তড়িঘড়ি ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের মতে, বাকি সব ভয়-ভীতীর সূত্রপাত সেখান থেকেই। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই কলেজ থেকে ক্লাস, পড়ুয়াদের ল্যাবরটরি সব অন্যত্র স্থানান্তরিত করে নেওয়ার পর থেকেই একপ্রকার ফাঁকা হয়ে যায় বিরাট কলেজ। জনশ্রুতি এটাও, একটা সময়ে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল হয়েছিল, জানা যায়, ওই কলেজের ল্যাবেরটরিতে যেসব দেশের পরীক্ষানীরিক্ষা করা হত, সেগুলি অবৈধ। অনেক ক্ষেত্রে সেসব দেহ কবর থেকে তুলে আনা হত। কোনও অনুমতি ছাড়াই সেসব চলত। যদিও এই তথ্যের সত্যচা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। জনশ্রুতি তেমনটাই। একইসঙ্গে উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনেও তাই উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের মনে ভয়, জনশ্রুতি, ওইসব পরীক্ষা করা হয়েছে যাঁদের দেহ নিয়ে, তাঁদের আত্মা ঘুরে বেড়ায় কলেজে। স্থানীয়রা বলেন, একবার ওই পরিত্যক্ত কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষী অদ্ভুত শব্দ পেয়ে কলেজের ভিতর গিয়েছিলেন রাতের অন্ধকারে। তারপর ওই নিরাপত্তারক্ষীর দেহ উদ্ধার হয় পরের দিন সকালে। ওই ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়দের মনে ভয় আরও চেপে বসে। এখন স্থানীয়দের বেশিরভাগ মানুষ ওই কলেজ, ওই এলাকা এড়িয়ে চলেন।
