আজকাল ওয়েবডেস্ক: হিমাচলে সম্প্রতি এক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। মান্ডি জেলার সেরাজ উপত্যকার শরণ গ্রামে ভূমিধসে চাপা পড়েও ২০ বছর বয়সী এক তরুণী বেঁচে যান। খবর মারফত, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া তুনেজা ঠাকুর একটি ছোট শ্বাস-প্রশ্বাসের জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হন। পাঁচ ঘন্টা ধরে চলে তাঁর বেঁচে থাকার লড়াই৷ খালি হাতে নিজেকে মাটি খুঁড়ে বের করেন যতক্ষণ না তাঁকে উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি এই ঘটনায় চমকে উঠেছে গোটা দেশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কাদা পাথর ও ধ্বংসাবশেষের ভারে তুনেজা ক্রমাগত চাপা পড়ছিল। দীর্ঘ লড়াই করা সত্ত্বেও, তিনি বেঁচে থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। পুলিশকে তুনেজা জানিয়েছেন শ্বাস নেওয়ার জন্য যথেষ্ট কাদা পরিষ্কার করেছেন তিনি৷ তাঁর পরিবার এবং গ্রামবাসীরা পাঁচ ঘন্টা ধরে তাঁকে খুঁজছিল।
তুনেজা আরও জানান, শ্বাসরোধকারী ফাঁদের ভেতর থেকে সময় যেন অফুরন্ত মনে হচ্ছিল তাঁর। তবু হার মানেননি তিনি। অবশেষে, তাঁর বাবা-মা তাঁকে টেনে উদ্ধার করে আনলেন।
মান্ডিতে আকস্মিক বন্যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ৩০ জুন-১ জুলাইয়ের বিপুল দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রামগুলি। এরই মধ্যে একটিতে তুনেজার বেঁচে থাকার গল্প তাঁর অসাধারণ দৃঢ়তার জন্য টিকে আছে। ৩০ জুন রাতে হিমাচলে আকস্মিক বন্যা হয়।
